রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ২৭ শতক জমি, বাজারদর প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। গুলশানে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার বাজার দর প্রায় ২০০ কোটি টাকা। সব কিছুরই মালিক পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ড. শামসুদ্দোহা ও তার পরিবার।
আর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত এসব সম্পদের অভিযোগে মামলা ও তদন্ত শেষে আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বেনজীর ও মতিউরকাণ্ডের পর দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে উঠে আসছে বড় বড় নাম। এসবের দুইজন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক সামসুদ্দোহা খন্দকার ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা।
যদিও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগটা পুরনো। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালে পুলিশের সাবেক এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২১ কোটি টাকার নন সাবমিশন মামলা করেছিল দুদক। তদন্ত শেষে যা গিয়ে ঠেকলো ৭০০ কোটি টাকার সম্পদে।
আরও পড়ুন: টাকা আত্মসাৎ: সাবেক ডিসি, বিচারক ও আইনজীবীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
আলোচিত এ দম্পতির দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে প্রায় পাঁচশ কোটি টাকা মূল্যের ১ হাজার ২৭ শতক জমি। গুলশানে ১৩৫ নম্বর রোডের এসইএস- এ ৬ নম্বর প্লটে এক বিঘা জমির ওপর ডুপ্লেক্স বাড়িটির বাজার দরও প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
সরকারি এ বাড়িটি গত ৮ বছর অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন শামসুদ্দোহা। দেননি কোনো ভাড়া, উল্টো তাকে বরাদ্দ দেয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে। বরাদ্দ না পেলেও এখনো রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
শামসুদ্দোহা ২০১১ সালে প্রেষণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হন। অভিযোগ আছে, সে সময় সীমা ছাড়া দুর্নীতিতে জড়ান তিনি, যার প্রেক্ষিতেই ২০১৯ তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
আরও পড়ুন: যেকোনো উপায়ে দুর্নীতি-অর্থপাচার বন্ধ করতে হবে : হাইকোর্ট
জানা যায়, দেশে নেই শামসুদ্দোহা ও তার পরিবারের কেউ। বেনজীরকাণ্ডের পর সপরিবারে কানাডার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন তারা।