বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: জয়দীপ্তা দেব চৌধুরী
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: জয়দীপ্তা দেব চৌধুরী

প্রয়াত বিচারপতি-আইনজীবীদের স্মরণে ফুলকোর্ট রেভারেন্স অনুষ্ঠিত

সুপ্রীম কোর্টের প্রয়াত সাবেক বিচারপতি এবং সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রয়াত সদস্যগণের স্মরণে ‘ফুলকোর্ট রেভারেন্স (Reverence)’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের ১ নং কোর্টে (প্রধান বিচারপতির এজলাস) ‘ফুলকোর্ট রেভারেন্স (Reverence)’ অনুষ্ঠিত হয়।

যে সকল বিচারপতিবৃন্দ ও আইনজীবীবৃন্দ ২০২২ সাল হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেন (প্রায় ১০৫ জন যাদের মধ্য ৬ জন বিচারপতি এবং ৯৯ জন আইনজীবী) তাদের স্মরণে ‘ফুলকোর্ট রেভারেন্স’ এর আয়োজন করা হয়।

এ দিন আদালতের কার্যক্রম আংশিক বন্ধ রেখে প্রয়াত বিচারপতিবৃন্দ এবং প্রয়াত আইনজীবীদের কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে প্রয়াত বিচারপতি ও আইনজীবীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমরা আজ যাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে এই সর্বোচ্চ আদালতে সমবেত হয়েছি, এই পৃথিবীর ক্ষণস্থায়ী ভ্রমণ শেষ করে তাঁরা মহাকালের অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু তাঁদের আদর্শ, নৈতিকতা আর মানবসেবার আভায় উজ্জ্বল হয়ে আছে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।

তিনি বলেন, তাদের সাফল্যের উদাহরণ আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা এবং সততা ও ন্যায়পরায়ণতা আমাদের জীবনযুদ্ধের বুনিয়াদ।

প্রধান বিচারপতি বলেন, যারা চলে গেছেন তাদের জীবনাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা যদি একটি আদর্শ বিচারব্যবস্থা এবং সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে একতাবদ্ধ হতে পারি তবে সেটাই হবে তাদের স্মৃতির প্রতি আমাদের সর্বোৎকৃষ্ট শ্রদ্ধা নিবেদন।

তিনি প্রয়াত বিচারপতি এবং প্রয়াত আইনজীবীগণের শোকসন্তপ্ত পরিবার ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি প্রয়াত বিচারপতি এবং আইনজীবীগণের জন্য সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার নিকট তাঁদের বিদেহী আত্নার মাগফিরাত ও প্রশান্তি কামনা করেন।

পরিশেষে প্রয়াত বিচারপতি এবং আইনজীবীগণের স্মরণে প্রধান বিচারপতির আহ্বানে দাঁড়িয়ে দুই মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ, এটর্নি জেনারেল ও এটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের সদস্যবৃন্দ, সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি, সম্পাদক ও আইনজীবীবৃন্দ এবং সুপ্রীম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ।