আদালত চলাকালে বিচারকের সামনে বাদীর আইনজীবীকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কোর্টে গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় ভুক্তভোগী আইনজীবীর নাম মো. মনির হোসেন। তিনি জি. ওয়াই. ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষে মামলা পরিচালনা করছিলেন।
শুনানি চলাকালে আদালতের ভিতর বিচারকের সামনে আইনজীবীকে হত্যা চেষ্টা, মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছে জি. ওয়াই. ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেড।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জি. ওয়াই. ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের হেড অব অ্যাকাউন্টস মো. সালাউদ্দিন আহমেদ চলতি বছরের গত ১ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানের ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করেন।
এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠান মালিকের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) হাফসা করিম বনানী থানায় গত ১৪ এপ্রিল দণ্ডবিধির ৪০৮/৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
গত মঙ্গলবার ২ জুলাই আসামি ঢাকার সিএমএম ৩ নং আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন শুনানির জন্য ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মামুনসহ ১০/১২ জনকে নিয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন।
প্রথমে আসামি পক্ষে জামিন আবেদন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মামুন। আদালতের অনুমতি নিয়ে জি. ওয়াই. ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবী মো. মনির হোসেন আসামির জামিনের বিরোধিতা করেন।
এতে আদালতের মধ্যে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আসামি পক্ষের সকল আইনজীবী। একপর্যায়ে আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট রানা সরদার, অ্যাডভোকেট সাকিল বাদী পক্ষের অ্যাডভোকেট মো. মনির হোসেনের টাই ধরে টেনে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা চেষ্টা করে।
একইসঙ্গে মারধর করে টেনে হিঁচড়ে আদালতের বাহিরে নেওয়ার চেষ্টা করে। আদালত আসামি পক্ষের উশৃংখল আইনজীবীদের আটক করতে উপস্থিত পুলিশকে বলেন। তখন বাদী পক্ষের অ্যাডভোকেট মো. মনির হোসেনকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা দ্রুত আদালত ত্যাগ করেন।