রায় ও আদেশের পুরোপুরি বাস্তবায়ন নিশ্চিতে সব কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে: সুপ্রিম কোর্ট

বিদেশে কর্মী প্রেরণে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালুর সুপারিশ

চূড়ান্ত ছাড়পত্র পাওয়ার পরেও প্রায় ২০ হাজারের মতো কর্মী মালয়েশিয়া যেতে না পারার ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, সেসম্পর্কে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। দাখিলকৃত প্রতিবেদনে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করা দরকার উল্লেখ করে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন সোমবার (১৫ জুলাই) আদালতে উপস্থাপনের পর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিন ধার্য করে দেন।

আদালতে রিটকারী পক্ষে আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় শুনানি করেন।

এর আগে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মালয়েশিয়ায় কর্মী না যাওয়ার ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে— তা সাত দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষ একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের নিকট হতে গ্রহণকৃত সমুদয় অর্থ ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ফেরত প্রদান করতে বলা হয়েছে। এছাড়া কর্মী প্রেরণে ব্যর্থতা ও দায়িত্বে অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রিক্রুটিং এজেন্সি কর্তৃক মন্ত্রণালয় নির্ধারিত সর্বোচ্চ অভিবাসন ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের প্রাপ্ত অভিযোগসমূহের আইনানুগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করা হলে নির্ধারিত সময়সীমার সঙ্গে সংগতি রেখে চাহিদাপত্র ও ভিসা ইস্যুর তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের স্বপ্নভঙ্গ: মানবাধিকার কমিশনের সুয়োমোটো অভিযোগ গ্রহণ

প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করা দরকার। যাতে চাহিদাপত্র ইস্যু থেকে কর্মীর বিদেশ গমন ও পরবর্তী পরিস্থিতি তদারকি করা যায়। এই সিস্টেমে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ, বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসমূহ এবং রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহ সংযুক্ত থাকতে পারে।

এছাড়া মন্ত্রণালয় হতে নিয়োগানুমতি গ্রহণের পর বিএমইটি’র ক্লিয়ারেন্স কার্ড গ্রহণ এবং কর্মী প্রেরণের বিষয়টি নির্দিষ্টকরণ করা। রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহ কর্তৃক অভিবাসী কর্মীদের নিকট থেকে অভিবাসন ব্যয় গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং ই-ভিসা প্রাপ্ত যে সকল কর্মী মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারেননি, তাদের বিষয়ে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক সে দেশের সরকারের সাথে কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখা।