বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের আদেশ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম আরিফ মন্ডল আইন মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ নোটিশ প্রেরণ করেন।
নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে শ্রম আইন ২০০৬ এর ২১৮(৩) ধারা অনুযায়ী শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের আদেশ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। অন্যথায় যথোপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শ্রমিকদের দেনা-পাওনাসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মামলা করতে হয় শ্রম আদালতে। সেই আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করার সুযোগ আছে। আপিল ট্রাইব্যুনালে বিচারক হিসেবে আছেন একজন চেয়ারম্যান ও একজন সদস্য।
যদিও সদস্য বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন আইনজীবীরা। অথচ এক বছর ধরে চেয়ারম্যান পদই ফাঁকা। এতে বাড়ছে মামলাজট। ভোগান্তি বেড়েছে বিচারপ্রার্থীদের।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা যায়, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ২১৮(৩) ধারা অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত অথবা অবসরপ্রাপ্ত বিচারক অথবা অতিরিক্ত বিচারক।
আর ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত অথবা অবসরপ্রাপ্ত বিচারক অথবা অতিরিক্ত বিচারক অথবা জেলা জজ হিসেবে কমপক্ষে তিন বছর কর্মরত কোনো বিচারক। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সদস্যদের মধ্য থেকে যিনি জ্যেষ্ঠ, তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফারুকের (এম ফারুক) নিয়োগ বাতিল করা হয় গত বছরের ২৫ এপ্রিল। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাইব্যুনালের সদস্য সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল।