নওগাঁয় যৌন পীড়নের মিথ্যা মামলা দিয়ে আসামী পক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগে বাদীকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং বিশ হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (৩১ জুলাই) নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল—২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার পত্নীতলা উপজেলার পত্নীতলা গ্রামের আলা উদ্দিনের মেয়ে আসমা বেগম একই গ্রামের মহাতাব শাহ্ এর ছেলে মোস্তফা শাহ্ সহ চার জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই যৌন পীড়নের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনালে পাঁচ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে ২০২৩ সালের ২৮ মে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় সকল আসামীকে খালাস প্রদান করা হয়।
এরপর শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি হয়েছে দাবী করে ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর যৌন পীড়নের দাবী করা নারী আসমা বেগমের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ১৭ ধারায় অভিযোগ আনয়ন করেন ভুক্তভোগী মোস্তফা শাহ্ (৭০)।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার অভিযোগটি আমলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা উক্ত নারীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। ইতোমধ্যে চলতি বছরে ২৫ জুলাই নালিশী মামলার সাক্ষ্য গ্রহন সমাপ্ত করা হয়।
চলতি বছর ৩০ জুলাই উভয় নালিশী মামলার যুক্তিতর্ক শ্রবন করা হয়। আজ জনাকীর্ণ আদালতে আসমা বেগমকে তিন বছর সশ্রম কারাদন্ড ও বিশ হাজার টাকা অর্থদন্ড করার রায় ঘোষণা করেন নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল—২ এর জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার।
রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পি.পি এ্যাডভোকেট আজিজুল হক ও আসামীপক্ষে এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন মামলা পরিচালনা করেন।