চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি পক্ষে ওকালতনামা দাখিল করাকে কেন্দ্র করে তোপের মুখে পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত মহানগর পিপি নেজাম উদ্দিন।
আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) সাধারণ আইনজীবীদের তোপের মুখে এপিপি পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। অ্যাডভোকেট নেজাম উদ্দিন বর্তমান মহানগর পিপি কাজী মুফিজুল হক ভূইয়ার জুনিয়র।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবি ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা রুজু করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামীর পক্ষে ওকালতনামা দাখিল করেন মহানগর পিপি কাজী মুফিজুল হক ভূইয়ার জুনিয়র নেজাম উদ্দিন।
বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষোভে ফেটে পরেন চট্টগ্রাম আদালতের সাধারণ আইনজীবীরা। ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা তৎক্ষণাৎ মহানগর পিপির অফিস ঘেরাও করেন এবং কাজী মুফিজুল হক ভূইয়া ও নেজাম উদ্দিনের পদত্যাগ দাবী করেন।
একইসঙ্গে কাজী মুফিজুল হক ভূইয়া ও নেজাম উদ্দিনের পদত্যাগ চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, সরকারি কৌঁসুলি হওয়া সত্ত্বেও আসামি পক্ষে ওকালতনামা দাখিল ও আসামীদের জামিনের প্রার্থনা করে পিপি পদের অপমর্যাদা করেছেন। যার ফলে আরোপিত দায়িত্বের বরখেলাপ ও নৈতিক স্খলন।
এক পর্যায়ে আইনজীবীদের তোপের মুখে পদত্যাগ পত্র জমা দেন অতিরিক্ত মহানগর পিপি নেজাম উদ্দিন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, আমি রাষ্ট্র পক্ষের হয়েও (এপিপি) আসামি পক্ষে ওকালতনামা দাখিল করে শহীদ আলিফ হত্যার আসামিদের জামিন শুনানিতে সহায়তা করায় সমস্ত দায়ভার আমি স্বেচ্ছায় নিজে গ্রহণ পূর্বক দোষী সাব্যস্ত হয়ে মহানগর পিপি মহোদয়ের উপস্থিতিতে বিজ্ঞ আইনজীবীদের সামনে পদত্যাগ করলাম।