মৌলভীবাজারে বিচারকাজ চলাকালে মোবাইলে আদালতের কার্যক্রম ভিডিও করার সময় একজনকে আটক করা হয়। বিনা অনুমতিতে আদালতের কার্যক্রম ভিডিও করার দায়ে দুইশ টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন বিচারক।
মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ২য় আদালতে গতকাল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এ ঘটনা ঘটে।
দণ্ডিত ব্যক্তির নাম মামুন আহমেদ, পিতা—দিলুমিয়া, মাতা—পারুল বেগম, সাং—উত্তরখলগাঁও, দক্ষিণভাগ, ডাক—করিমপুর, থানা—রাজনগর, জেলা—মৌলভীবাজার।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ২য় আদালতে একটি মামলায় মেহেদী হাসান নামীয় একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ চলছিল। এসময় তার ভাগিনা মামুন আহমেদ মোবাইলে আদালতের কার্যক্রম ভিডিও করার করতে দেখা যায়।
বিষয়টি আদালতের সহায়ক কর্মচারী বিচারক এম. মিজবাহ উর রহমানের নজরে বিচারক নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত পুলিশ সদস্যকে উক্ত ব্যক্তিকে আটক করার নির্দেশ প্রদান করেন। আটককৃত ব্যক্তির হাতে থাকা রেডমি ব্র্যান্ডের মোবাইলে আদালতের কার্যক্রম ভিডিও করার সত্যতা প্রাপ্ত হন।
পরে আটককৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার নাম মামুন আহমেদ, পিতা—দিলুমিয়া, মাতা—পারুল বেগম, সাং—উত্তরখলগাঁও, দক্ষিণভাগ, ডাক—করিমপুর, থানা—রাজনগর, জেলা—মৌলভীবাজার মর্মে প্রকাশ করে।
আটককৃত ব্যক্তি মামুন আহমেদের উক্ত কর্মকান্ডের কারণে বিচারিক কার্যক্রমের বাধা সৃষ্টি হওয়ায় এবং বিনা অনুমতিতে আদালতের কার্যক্রম মোবাইল ফোনে ভিডিও করায় আদালতের প্রতি ইচ্ছাকৃতভাবে অশ্রদ্ধা প্রদর্শিত হয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে আদালত তাকে তার অপরাধ দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ২২৮ ধারায় গণ্য করে ফৌজদারি কার্যবিধির, ১৮৯৮ এর ৪৮০ ধারানুযায়ী ২০০/— টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।