মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, প্রবীণ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ মারা গেছেন; তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে তার ছেলে মোয়াজ আরিফ গণমাধ্যমকে জানান।
মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ এক সময় ছিলেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল। ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারেও তিনি উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ল্যাবএইডের জনসংযোগ কর্মকর্তা চৌধুরী মেহের এ খোদা বলেন, বিকাল ৩টার দিকে পরিবারের সদস্যরা উপদেষ্টা হাসান আরিফকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
“স্বজনরা বলেছেন, উনি ভাত খাচ্ছিলেন, তার মধ্যেই পড়ে যান। এখানে আনা হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনটা ৩৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আসলে তাকে আমরা মৃত অবস্থাতেই পেয়েছি। তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল।”
১৯৪১ সালের ১০ জুলাই কলকাতায় হাসান আরিফের জন্ম। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি করেন।
১৯৬৭ সালে কলকাতা হাই কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তিনি সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা হাই কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবী ছিলেন ‘এএফ হাসান আরিফ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’ চেম্বারের প্রধান।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে ১৯৮২ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৮৫ সালের অগাস্ট পর্যন্ত তিনি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।
পরে ১৯৮৫ সালের অগাস্ট থেকে ১৯৯৬ সালের মার্চ পর্যন্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং বিএনপি জামায়াত-জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।
হাসান আরিফ ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন।
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের একজন প্যানেল সদস্য ছিলেন তিনি।