অবকাশে হাইকোর্টে দুই ধাপে ১৪ বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ
সুপ্রিম কোর্ট

তিন মাসে সুপ্রিম কোর্ট হেল্পলাইনে ঘুষ-অসদাচরণের ৩৩ অভিযোগ

বিচারপ্রার্থীদের সেবা নিশ্চিতে সুপ্রিম কোর্টে চালু করা হেল্পলাইনে তিন মাসে ঘুষ-অসাদাচরণের ৩৩টি অভিযোগ জমা হয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে এরই মধ্যে নানা ধরনের আইনগত পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগের পাশাপাশি আইনি পরামর্শ ও সেবা পেতে ভোগান্তিসহ এই সময়ে ১ হাজার ৩টি ফোনকল এসেছে হেল্পলাইনে।

সুপ্রিম কোর্টের এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (১ জানুয়ারি) এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ২৬ সেপ্টেম্ব সুপ্রিম কোর্ট হেল্পলাইন সেবা চালু করেন। মূলত, সুপ্রিম কোর্টে আগত বিচারপ্রার্থীদের সেবাপ্রাপ্তীতে প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধে হেল্পলাইন নম্বর (০১৩১৬১৫৪২১৬) চালু করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা এই হেল্পলাইনের দায়িত্বে রয়েছে। সরাসরি ফোন করে অথবা হোয়াটসঅ্যাপে সরকারি ছুটির দিন ছাড়া রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত যোগাযোগ করা যাচ্ছে এই হেল্পলাইনে।

তিন মাসের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হেল্পলাইন সেবা চালু করার তিন মাসে আইনি পরামর্শ, মামলা সম্পর্কিত তথ্য ও অভিযোগ দাখিল সংক্রান্ত মোট ১০০৩টি কল গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আইনি পরামর্শ সেবা গ্রহণের নিমিত্তে ৬০৪টি কল আসে। এছাড়া, বিভিন্ন মামলার তথ্য জানতে চেয়ে কল আসে ৩৪৪টি। এসব কলের সবগুলো তথ্যই সেবাগ্রহীতাদের তাৎক্ষণিকভাবে প্রদান করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের তথ্য অনুযায়ী, তিন মাসে বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ, কাজে অবহেলা, বিলম্বে সেবা প্রাপ্তি, অসদাচরণ ইত্যাদি সম্পর্কিত ৫৫টি অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে বিলম্বে আইনি সেবা প্রাপ্তি সংক্রান্ত অভিযোগ ২২টি এবং বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ, কাজে অবহেলা, অসদাচরণ ইত্যাদি সম্পর্কিত ৩৩টি অভিযোগ। এর মধ্যে বিভিন্ন জেলা আদালতের বিচারকের বিরুদ্ধে ১২টি, হাইকোর্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তিনটি, জেলা আদালতের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ১২টি এবং আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ছয়টি ঘুষ-অসাদাচরণের অভিযোগ এসেছে।

সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সকল অভিযোগ সম্পর্কিত সেবা ইতোমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহির মুখোমুখি করা হয়েছে। ঘুষ-অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এরই মধ্যে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।