অবশেষে হদিস মিলেছে চট্টগ্রাম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরের কক্ষের সামনের বারান্দা থেকে খোয়া যাওয়া মামলার নথির। ইতোমধ্যে খোয়া যাওয়া ৯ বস্তা নথি উদ্ধারের পাশাপাশি একজনকে আটক করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) নগরের পাথরঘাটা শতীশ বাবু লেনিন এলাকার একটি ভাঙারির দোকান থেকে এসব নথি উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খোয়া যাওয়া নথিগুলো পাথরঘাটা এলাকার একটি ভাঙারির দোকানে কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছিল।
ওসি জানান, নথি গায়েবের ঘটনায় গোপন সংবাদে রাসেল নামে একজনকে বাকলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নথিগুলো পাথরঘাটার ভাঙারির দোকানে বিক্রির কথা জানান।
এরপর সেখানে অভিযান চালিয়ে ৯ বস্তা মামলার নথি (কেস ডকেট বা সিডি) উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে দুই দিনের আদালতের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজন রাসেলকে শনাক্ত করে পুলিশ। তিনি আদালত চত্বরে চা বিক্রি করতেন। নথি চুরির পর তিনি ভাঙারির দোকানে সেগুলো ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দেন।
আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা করায় বাদী ও সাক্ষীর বিরুদ্ধে বিচারকের মামলা
সম্প্রতি চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ের বাইরের বারান্দায় রেখে দেয়া ৩০টি আদালতের ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথি (কেস ডকেট বা সিডি) চুরি হয়। ওইসব নথি মহানগর পিপি অফিসে জায়গা সংকুলানের কারণে অফিসটির বাইরে রাখা হয়েছিল।
তবে আদালতের অবকাশকালীন সময়ের মধ্যে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব মামলার নথি হারিয়ে যায়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়া।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, মহানগর দায়রা জজের অধীন ৩০টি মহানগর দায়রা জজ আদালতের মোট ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথি গায়েব হয়ে গেছে। পলিথিনে মুড়িয়ে এসব নথি ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে মহানগর পিপি কার্যালয়ের সামনে রাখা ছিল।
মূলত পিপি অফিসে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়েই আদালতের বারান্দায় নথিগুলো রাখা হয়েছিল। যারমধ্যে হত্যা-ডাকাতি ছাড়াও মাদক থেকে শুরু বিস্ফোরক মামলা ও চোরাচালান মামলার নথি ছিল।