প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, স্বচ্ছ ও সহজলভ্য বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঘোষিত রোডম্যাপের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ দেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের যাত্রা আরও সুসংহত করবে।
আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লুতে সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান বিচারপতি এ আশা প্রকাশ করেন।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণসহ বিচারসেবা প্রদানে দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয় সম্পর্কে আয়োজিত এ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউএনডিপির বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টিফান লিলার। সেমিনারে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব সভাপতিত্ব করেন।
সেমিনারে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, শ্রম আদালত, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারাসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সেমিনারে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সরকারি কৌঁসুলি, পাবলিক প্রসিকিউটর-সহ অন্য আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।
এতে প্রধান বিচারপতি প্রধান অতিথি হিসেবে তার বক্তব্যে বলেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণার পর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে ইতোমধ্যে জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য তৈরি করা খসড়া অধ্যাদেশ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় স্থাপনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতিতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নসহ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রধান বিচারপতি ফেলোশিপ চালু করার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কাজ করে যাচ্ছে।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে কাগজমুক্ত কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়েছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে স্বচ্ছ ও সহজলভ্য বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তার ঘোষিত রোডম্যাপের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ দেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের যাত্রা আরও সুসংহত করবে।