বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুর উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এ সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগের কথা জানান আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার দাবি দীর্ঘদিন ধরে আছে। এটির উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। একটু সময় লাগছে খুঁটিনাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য।
এর আগে গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকল্পে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের বাস্তবায়নে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় আইনি ও কাঠামোগত সংস্কার আনতে পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
জানা গেছে, পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐকমত্যে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্ট এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। একাধিক বৈঠকের পরই বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাঠানো এ সংক্রান্ত খসড়া ও প্রস্তাবিত সচিবালয়ের অর্গানোগ্রাম যাচাই-বাছাই করছে আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে রুলস অব বিজনেস ও অ্যালোকেশন অব বিজনেসের কোন কোন ক্ষেত্রে সংস্কার দরকার কি না, সেটাও বিবেচনায় আছে মন্ত্রণালয়ের। খসড়া চূড়ান্ত হলেই পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার আইন অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এদিকে সচিবালয়ের নাম কি হবে সেটাও পরীক্ষানিরীক্ষা করা হচ্ছে। বিচার বিভাগীয় না সুপ্রিম কোর্ট নামে সচিবালয় করা হবে সেটা নিয়েও চলছে যুক্তিসংগত আলোচনা।
এদিকে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুর উদ্যোগের কথা জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, অভিযোগ আছে, সরকারি কৌঁসুলিরা যেহেতু দলীয়ভাবে নিয়োগ পান, সে জন্য তাঁরা অনেক সময় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারেন না। রাষ্ট্রের পক্ষে ভূমিকা পালন না করে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে ভূমিকা পালন করেন। এর সমাধান হচ্ছে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্যে আইন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এক মাসের মধ্যে এটি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।