অবকাশে হাইকোর্টে দুই ধাপে ১৪ বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ
সুপ্রিম কোর্ট

কাগজাদির টাইপ কপি সত্যায়িত করে পাঠাতে দেওয়া নির্দেশনা কঠোরভাবে মানতে নির্দেশ

অধস্তন আদালত থেকে পাঠানো মূল নথির (এলসিআর) সঙ্গে সাক্ষীর সাক্ষ্য (জবানবন্দি ও জেরা) এবং অস্পষ্ট হাতের লেখাসংবলিত কাগজাদির টাইপ কপি সত্যায়িত করে পাঠাতে দেওয়া নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। ‘অধস্তন আদালত হতে পাঠানো নথিতে সাক্ষীর সাক্ষ্য ও সংশ্লিষ্ট কাগজাদির টাইপ কপি পাঠানো প্রসঙ্গে’ হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তিটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ২৩ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয়েছে।

হাইকোর্ট বিভাগের ২০০৩ সালের ২০ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তিতে অধস্তন আদালত থেকে পাঠানো মূল নথির (এলসিআর) সঙ্গে সাক্ষীর সাক্ষ্য (জবানবন্দি ও জেরা) ও অস্পষ্ট হাতের লেখাসংবলিত সংশ্লিষ্ট কাগজাদির টাইপ কপি সত্যায়িত করে পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এতে জানানো হয়, পরে হাইকোর্ট বিভাগের ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর ও ২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তিতেও অধস্তন আদালত থেকে পাঠানো নথির সঙ্গে সাক্ষীর সাক্ষ্য (জবানবন্দি ও জেরা) ও অস্পষ্ট হাতের লেখাসংবলিত সংশ্লিষ্ট কাগজাদির টাইপ কপি সত্যায়িত করে পাঠানোর নির্দেশনা গুরুত্বসহকারে যথাযথভাবে প্রতিপালন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুনরায় নির্দেশ দেওয়া হয়।

যে কারণে বিজ্ঞপ্তি

২৩ জানুয়ারির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে অধস্তন আদালত থেকে হাইকোর্ট বিভাগে পাঠানো মূল নথির (এলসিআর) সাক্ষীর সাক্ষ্য (জবানবন্দি ও জেরা) ও অস্পষ্ট হাতের লেখাসংবলিত সংশ্লিষ্ট কাগজাদি অনেক সময় পাঠোদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় সঠিকভাবে পেপারবুক তৈরিতে বিলম্বসহ আদালতে মামলা শুনানিকালে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।

এমতাবস্থায় এই কোর্টের (হাইকোর্ট বিভাগ) ওই তিনটি বিজ্ঞপ্তিমূলে অধস্তন আদালত থেকে পাঠানো মূল নথির (এলসিআর) সঙ্গে সাক্ষীর সাক্ষ্য (জবানবন্দি ও জেরা) ও অস্পষ্ট হাতের লেখাসংবলিত সংশ্লিষ্ট কাগজাদির টাইপ কপি সত্যায়িত করে পাঠানোর নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুনরায় নির্দেশ দেওয়া হলো।