কারাগারের জরুরি সেবা (হটলাইন) নম্বর ০৯৬১২০২১৬৯০ চালু করা হয়েছে। এখন থেকে এই জরুরি হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে বন্দির অবস্থান, প্যারোলে মুক্তি সম্পর্কিত তথ্য, শারীরিক অবস্থা, হাজিরা, সাক্ষাৎকার ও কথা বলার তারিখ জানা যাবে। বন্দির স্বজনরা এই হটলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।
আজ রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে এই হটলাইনের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, জুলাই বিপ্লবে আহত শিক্ষার্থীদের এই জরুরি সেবা সার্ভিসে নিয়োগ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
উদ্বোধন করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে কারাগার থেকে পালানো বন্দিদের মধ্যে এখনো ৭০০ আসামি পলাতক রয়েছে। তাদেরকে এখনও ধরা যায়নি। আর বাকি পলাতকদের বন্দি করে কারাগারে রাখা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছিনতাই-চাঁদাবাজি হচ্ছে অস্বীকার করছি না। তবে যারা এসব করছে তারা ধরাও পড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি যেভাবেই হোক ছিনতাই-চাঁদাবাজি কমিয়ে আনার জন্য।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশের কাজের উদ্যম বাড়াতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের জনবল স্বল্পতা নেই। জুলাই বিপ্লবের পর নানা কারণে তাদের কাজের উদ্যমে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। সেজন্য পুলিশের কাজের গতি ও উদ্যম বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে অবস্থিত কারা হাসপাতাল, লাইব্রেরি, ডিভিশন প্রাপ্ত বন্দিদের ভবনসহ কয়েদি ও হাজতিদের ভবন, কারা মনন চর্চা কেন্দ্র, শরীরচর্চা কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় কারা মক্তব, কারু পণ্য উৎপাদন কেন্দ্র, কুক হাউস, ফাঁসির মঞ্চ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বই বিতরণ কেন্দ্র, দর্শনার্থী সাক্ষাৎ ভবন, কারা ক্যান্টিনসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনের সময় তিনি কারা অভ্যন্তরে ভেষজ বৃক্ষ হরিতকী গাছের চারা রোপণ করেন। এসময় কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।