আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় রিপন দাসের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ

আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১১ আসামি কারাগারে

চট্টগ্রাম আদালতের অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ১১ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাতে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন- প্রেমনন্দন দাশ বুজা (১৯), রনব দাশ (২৪), বিধান দাশ (২৯), বিকাশ দাশ (২৪), রুমিত দাশ (৩০), রাজ কাপুর (৫৫), সামির দাশ (২৫), শিব কুমার দাশ (২৩), ওম দাশ (২৬), অজয় দাশ (৩০) ও দেবী চরণ (৩৬),

অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার আইনজীবী ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রোববার রাতে কড়া নিরাপত্তায় আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিদের সবাই এজাহারভুক্ত ছিলেন।

জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে।

পরদিন কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এটি নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা।

এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। দুপুর পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।

একপর্যায়ে ওইদিন বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল ইসকন অনুসারীর হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী আইনজীবী সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে এজাহারে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।