কক্সবাজারের ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: জয়দীপ্তা দেব চৌধুরী

বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগ

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগী হওয়ার অভিযোগে ছুটিতে পাঠানো হাইকোর্টের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা সোয়া দুইটার দিকে সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন বিভাগ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শফিকুল ইসলামের পাঠানো এই বার্তায় বলা হয়, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কর্তৃক অনুসন্ধান পরিচালনাধীন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে নিজ স্বাক্ষরযুক্ত পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারক ছিলেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.বি (অনার্স) এবং এলএল.এম ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

২০ এপ্রিল ১৯৮৩ সালে বিচারিক সেবায় মুনসিফ হিসেবে যোগদান করেন এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০০ তারিখে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।

২১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে উচ্চ আদালতের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।

১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের উদ্যোগে নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত আইন ও বিচার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

২০১৩ সালে দিল্লি বিচার একাডেমিতে ভারতের দিল্লিতে বিচারিক শিক্ষা এবং আদালত পরিচালনা বিষয়ক একটি বিচারিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

‘দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর’ বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে রোববার (২০ অক্টোবর) থেকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হবে বলে জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা।

কিন্তু তিনি তাদের নাম প্রকাশ করেননি। তবে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কার্যতালিকায় ১২ বিচারপতির নাম পাওয়া যায়নি।

সেই বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন।