বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের প্রাঙ্গণ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রাঙ্গণ থেকে মাজার স্থানান্তর ও বহুতল মসজিদ নির্মাণ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
আবেদনকারী মোঃ মাহমুদুল হাসান, যিনি সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সদস্য, তার এই আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছেন যে, দেশের সংবিধান অনুযায়ী নাগরিক দায়িত্ব ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
তিনি উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রাঙ্গণে অবস্থিত মাজার এবং মাজার মসজিদটি বর্তমানে ভেঙ্গে বহুতল মসজিদ নির্মাণের কাজ চলছে। মাজার থাকার কারণে প্রাঙ্গণে নিয়মিত ভবঘুরে লোকজন, ভিক্ষুক এবং মাজার ভক্তদের উপস্থিতি থাকে। বিশ্বের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি না থাকায় এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত ও পাকিস্তানে মাঝে মাঝে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটায়, প্রাঙ্গণে মাজার থাকার ফলে ছদ্মবেশে দেশী-বিদেশী সন্ত্রাসী ও গোয়েন্দাদের অবস্থান ও নজরদারির সম্ভাবনা রয়েছে।
এতে সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিবৃন্দ, আইনজীবীবৃন্দ, কোর্ট স্টাফ এবং বিচারপ্রার্থী জনগণের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।
আবেদনকারীর যুক্তি অনুযায়ী, মাজার যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় স্থানান্তর করে অন্য কোনো উপযুক্ত স্থানে প্রতিস্থাপন করা উচিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কবর স্থানান্তরের উদাহরণ রয়েছে, যা নতুন কোনো বিষয় নয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং ইসলামীক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে মাজার স্থানান্তর সম্ভব।
অবশ্যই, সুপ্রীম কোর্ট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রাঙ্গণে মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা উচিত। সুপ্রিম কোর্ট ও বার এসোসিয়েশনের প্রাঙ্গণে কয়েকটি মসজিদ রয়েছে, যা মোটামুটি পর্যাপ্ত। নতুন বহুতল মসজিদ নির্মাণ করলে নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি হবে, কারণ বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী মুসলিম জনগণকে ধর্মচর্চার অধিকার রয়েছে এবং ফজর থেকে এশার নামাজ পর্যন্ত মসজিদে আসতে হবে।
আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, যদি বহুতল মসজিদ নির্মাণ করা বাধ্যতামূলক হয়, তবে বিদ্যমান সড়ক ভবনের মসজিদ ভেঙে বহুতল মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে, মাজার স্থানান্তর এবং বহুতল মসজিদ নির্মাণের সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি সম্পর্কে পুনর্বিবেচনা আবশ্যক।
আবেদনকারীর অনুরোধ, সুপ্রীম কোর্ট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রাঙ্গণ থেকে মাজার স্থানান্তর করা হোক এবং বহুতল মসজিদ নির্মাণ পুনর্বিবেচনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক, যাতে বিচারপতি, আইনজীবী, কোর্ট স্টাফ এবং বিচারপ্রার্থী জনগণের জীবন সুরক্ষিত থাকে।