দেশ বরেণ্য নাট্যকার প্রয়াত সেলিম আল দীনের অর্জিত পদক, পুরস্কার, নাটকের পাণ্ডুলিপি ও অন্যান্য ব্যবহার্য দ্রব্য সংরক্ষণের দাবিতে ফেনীর সেলিম আল দীন জাদুঘরে জমা দেওয়ার জন্য আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সেলিম আল দীনের ভাতিজা ও সেলিম আল দীন কেন্দ্র, ফেনীর সহ-সভাপতি সালাহ উদ্দিন শুভ্রের পক্ষে আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান এই নোটিশ পাঠান।
নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন মঞ্চ নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, মো. কামরুল হাসান, আব্দুস সালাম এবং নাসরিন সুলতানা বিলকিস।
আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান জানান, প্রয়াত সেলিম আল দীন ছিলেন বিশ্বমানের নাট্যকার, গবেষক ও নাট্য নির্দেশক। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ দেশি-বিদেশি নানা পুরস্কার অর্জন করেন। এজন্যই তিনি নাট্যাঙ্গনে “নাট্যাচার্য” উপাধিতে ভূষিত হন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সেলিম আল দীনের পদক, পুরস্কার, পান্ডুলিপি ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র জাতীয় সম্পদ এবং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। সংবিধানের ২৩ নম্বর অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রকে জনগণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অথচ নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রয়াত নাট্যকারের ঘনিষ্ঠজনরা এসব দ্রব্য নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছেন, যা সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ভক্ত, গবেষক ও অনুরাগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
সেলিম আল দীনের জন্মস্থান ফেনীতে “সেলিম আল দীন কেন্দ্র” এবং এর অংশ হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে সচল “সেলিম আল দীন মিউজিয়াম” রয়েছে। এখানে দেশি-বিদেশি ভক্ত ও গবেষকরা নিয়মিত আসলেও মূল্যবান পদক, পান্ডুলিপি ও ব্যক্তিগত দ্রব্য প্রদর্শিত হচ্ছে না। এতে দর্শনার্থীরা মর্মাহত হচ্ছেন।
নোটিশে ১৫ দিনের মধ্যে সমস্ত পদক, পান্ডুলিপি, পুরস্কার ও ব্যবহার্য সামগ্রী ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট দায়েরসহ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট অবগতির জন্য কপি পাঠানো হয়েছে।