ইরান তাদের প্রযুক্তি খাতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটি প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক আইনি রোবট “রোবোলিগ্যাল” চালু করেছে, যা স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাধারণ নাগরিকদের আইনি সেবা দ্রুত ও সহজভাবে পৌঁছে দেবে।
এই রোবট ব্যবহারকারীদের ভয়েস বা টেক্সটের মাধ্যমে আইনি প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম। ফলে শহর থেকে দূরে থাকা বা ব্যয়বহুল আইনি পরামর্শ নিতে অক্ষম মানুষও সহজে সহায়তা পাবেন। আসলে এটি একটি ন্যায়সঙ্গত ও সবার জন্য উন্মুক্ত আইনি ব্যবস্থার পথ খুলে দিচ্ছে।
রোবোলিগ্যালের বৈশিষ্ট্য
-
ভয়েস ও টেক্সটের মাধ্যমে সহজ যোগাযোগ
-
অসংখ্য মামলার ডেটাবেইজ ব্যবহার করে সঠিক উত্তর প্রদান
-
আইনি পরামর্শে দ্রুততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ
-
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিচারক ও আইনজীবীদের কাজের চাপ কমানো
সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, রোবোলিগ্যাল শুধু আইনি সহায়তাই নয়, বরং বিচারক ও আইনজীবীদের সহায়তা করে মামলার গতি বাড়াবে এবং খরচ কমাবে। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ইরানি সরকারের ডিজিটালাইজেশন উদ্যোগ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও প্রশাসন খাতে ইতোমধ্যেই কার্যকর হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় রোবোলিগ্যালকে সম্পূর্ণ স্থানীয় প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যাতে এটি ইরানের আইন, সংস্কৃতি ও প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে।
প্রযুক্তি খাতে নতুন অধ্যায়
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের তরুণ উদ্যোক্তারা অনলাইন শপিং, ব্যাংকিং, হার্ডওয়্যার ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দ্রুত বিকাশ ঘটাচ্ছেন। স্থানীয় বাজারের চাহিদা বুঝে তারা এমন সব উদ্ভাবন করছেন যা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও প্রতিযোগিতা করার সামর্থ্য রাখে।
রোবোলিগ্যালকে সেই ধারাবাহিক উদ্ভাবনের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি প্রমাণ করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেবল প্রযুক্তি নয়, বরং সামাজিক ন্যায়বিচার ও জনসেবায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।