পূর্ব-নোটিশ ছাড়া নির্দিষ্ট ক্যাম্প চিহ্নিত না করে বিহারিদের উচ্ছেদ করা যাবে না বলে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ‘মিরপুরের দশটি ওয়াপদা ভবন ও মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পের বাইরে ঢাকায় বসবাসরত বিহারিদের উচ্ছেদে আর কোনও বাধা রইলো না’ বলে জানিয়েছেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম খন্দকার।
আজ রোববার (২৮ অক্টোবর) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার পাল। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন মো. শাহজাহান।
এর আগে ২০১৭ সালের আগস্টে মিরপুর উর্দুভাষী বিহারি মাকসুদ আলম হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনের মাধ্যমে বিহারিদের জন্য পূর্ব নোটিশ ছাড়া বিহারি ক্যাম্প চিহ্নিত না করে উচ্ছেদ করা যাবে না, বলে রুলের আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুলের মাধ্যমে ঢাকায় বসবাসরত বিহারিদের জন্য এলাকা নির্ধারণ না করে উচ্ছেদ না করার বিষয়ে হাইকোর্ট রুল দেন এবং তাদের উচ্ছেদের বিষয়ে স্থিতাবস্থা দেন।
এরপর ওই রুলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি হয়। শুনানি শেষে রবিবার (২৮ অক্টোবর) আদালত রুল খারিজ করে দেন। এর ফলে মিরপুরের দশটি ওয়াবদা ভবন ও মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পের বাইরে ঢাকায় বসবাসরত বিহারিদের উচ্ছেদে বাধা রইলো না।