নির্বাচনকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে- সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের সমান চোখে দেখা। কাউকে বেশি দেখা, কাউকে কম দেখার মতো অন্যায় আপনারা কখনও করবেন না। হুকুম নড়ে তো হাকিম নড়ে না- এমনটা যেন না হয়।’
আজ রোববার (২৫ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারদের ওপর প্রচুর চাপ থাকে। যেটা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন, প্রিজাইডিং অফিসার যেন সবসময় নিরাপদে থাকেন। প্রিজাইডিং অফিসারের ওপর পুরো ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব। তিনি চাওয়া মাত্র তাকে সহযোগিতা করা আপনাদের দায়িত্ব। আপনারা নির্বাচন পরিচালনা করতে যাবেন না।’
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালকদারের বক্তব্য টেনে সিইসি বলেন, ‘আপনারা (ম্যাজিস্ট্রেট) বিধাতা বা ভগবানের প্রতিভূ- কথাটি যথার্থ। আল্লাহর আরেক নাম হাকিম। আপনারাও সকলে হাকিম। সুতরাং হাকিমের দায়িত্ব তেমনি নিরপেক্ষভাবে পালন করতে হবে। দাড়িপাল্লার নিক্তিতে মেপে দেখতে হবে।’
বক্তব্যকালে সিইসি আইনের ৫/৭টা আইনের কমপক্ষে ২০টা ধারা, আচরণ বিধি, দণ্ডবিধি ১৮৬০, ১৪১ ধারা এর উপধারা, পুলিশ আইন ১৮৬১, ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যপ্রনালী বিধি ১৮৯৮, ১২৭ থেকে ১৩১ পর্যন্ত, পিআরবি ভালভাবে পড়াশুনার নির্দেশনা দেন তিনি।
সিইসি বলেন, স্বরাষ্টমন্ত্রণালয় থেকে একটা পরিপত্র দেয়া হয় সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সিভিল ওয়ার্ক ভালভাবে আত্মস্থ করতে পারলে বিজ্ঞ ম্যাটিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.) ও নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক।
অনুষ্ঠানে গতকাল রাজশাহী নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা নিয়ামুল ইসলাম হৃদরোগে আক্রান্ত কর্মকর্তা মৃত্যুবরণের ঘটনায় এক মিনিট নীরাবতা পালন করা হয়। পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট দেরিতে আজকের অনুষ্ঠানে কয়েকজন নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা প্রবেশ করায় তিরস্কার স্বরূপ হাততালি দেন সিইসি।