সোনাইমুড়ির পর এবার চাটখিল থানার ওসির প্রত্যাহারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন নোয়াখালী-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার খোকনের পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী এ রিট আবেদন করেন। আগামী রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, ১৯ ডিসেম্বর চাটখিল থানার ওসির প্রত্যাহার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে এখনও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ কারণে আমরা রিট আবেদন করেছি।
১৯ ডিসেম্বর বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও নোয়াখালী-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) প্রত্যাহার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেন। ওসির বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্রের মদদ দেয়া ও গ্রেফতার বাণিজ্যের অভিযোগ করেন খোকন।
বুধবার বিকেলে আবেদনটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কাছে জমা দেন খোকন।
গত ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে সোনাইমুড়ি বাজারে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের সময় ছররা গুলিতে আহত হন বিএনপির এ নেতা। সে জন্য সোনাইমুড়ি থানার ওসিকে অভিযুক্ত করে তার প্রত্যাহারে আবেদন করেন খোকন।
সোনাইমুড়ির পর চাটখিল থানার ওসি প্রত্যাহারের আবেদন প্রসঙ্গে খোকন বলেন, হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. কামরুজ্জামান শাহীনের বাড়ি গত ১৭ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পুলিশের কাছে কারণ জানতে চাইলে আক্রান্তদের বলা হয় ওসির নির্দেশ আছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া পোস্টার লাগাতে গেলে পুলিশ বিএনপিকর্মীদের গ্রেফতার করে। বিএনপি নেতা বিপুল ইসলাম পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করলেও ৭০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন ওসি শামসুদ্দিন। নির্বাচনী এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি হলেও তা উদ্ধারে ওসির অনীহা রয়েছে। এসব অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দিয়েও প্রতিকার পাওয়া যায়নি। শামসুদ্দিন নিজের অবৈধ অস্ত্রের মদদ দিচ্ছেন। তাই চাটখিল থানার ওসি হিসেবে তিনি দায়িত্বে থাকলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
এজন্য তাকে প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সিইসির কাছে আবেদন জানান খোকন।
ব্যারিস্টার খোকনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যেই সোনাইমুড়ি থানার ওসিকে প্রত্যাহার করেছে ইসি।