মিরপুর মডেল থানার এক কনস্টেবলের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে র্যাব–৪। তারা বলছে, কবির নামের ওই কনস্টেবলকে ইয়াবা বিক্রির সময় তারা হাতেনাতে ধরেছে। তাঁর কাছে ছয়টি ইয়াবা বড়ি পাওয়া গেছে।
মিরপুর মডেল থানার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়েরের কথা স্বীকার করেননি। তবে মিরপুর বিভাগের দায়িত্বশীল একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে মামলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি এ–ও বলেছেন, শরীরে আঘাত নিয়ে ওই কনস্টেবল এখন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। র্যাব ও পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন ভাষ্য পাওয়া গেছে ঘটনাটি নিয়ে।
র্যাব–৪–এর অধিনায়ক চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির বলেছেন, কনস্টেবল কবির তাঁদের হেফাজতে সুস্থ ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, মিরপুর মডেল থানার কনস্টেবল কবির স্টেডিয়ামের কাছে ইয়াবা বিক্রির সময় ধরা পড়েন সোমবার। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব মিরপুর মডেল থানায় মামলা করতে যায়। মামলা করার পর ওই কনস্টেবলকে পুলিশের হেফাজতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে সময় তিনি সুস্থ ও সবল ছিলেন। পুলিশি হেফাজতে কী হয়েছে, তিনি কেন হাসপাতালে তা পুলিশই বলতে পারবে।
এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য জানতে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে এ নিয়ে কথা বলবেন বলে জানান। কিন্তু তিনি আর ফোন ধরেননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের আরেকটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, কনস্টেবল কবির সোমবার রাতে কাজ সেরে সাদাপোশাকে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ র্যাব–৪–এর একটি গাড়ি থেকে একজন ভবঘুরেকে গ্রেপ্তারের তোড়জোড় দেখতে পান তিনি। কী হয়েছে জানতে এগিয়ে গেলে তাঁকেও র্যাব গাড়িতে ওঠায়। তারপর মামলা দিয়ে দিয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করবে। সূত্র : প্রথম আলো