সাতক্ষীরা বার লাইব্রেরি অফিস ভাংচুর, গুরুত্বপূর্ণ রায়ের কপি তছনছ, ধর্মীয় গ্রন্থের অবমাননাসহ বিভিন্ন অপকীর্তির সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবি করা হয়েছে। পাশপাশি ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) মানববন্ধন কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বুধবার (২৮ আগস্ট) লিখিত এই অভিযোগ তুলে ধরেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহ আলম।
১৮৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির পুরনো ভবনের লাইব্রেরি ভাংচুর তছনছের ঘটনা ঘটে গত ২১ আগস্ট রাতে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সাতক্ষীরা থানায় লিখিত এজাহার দেয়া হলেও এই ঘটনায় কোন মামলা রেকর্ড হয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২২ আগস্ট রাতে বার লাইব্রেরির দরজার তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। এর বিবরণ দিয়ে বলা হয় এই ভবনের দখল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে মামলা চলছে। ঘটনার রাতে নিকটেই পুলিশ পাহারায় ছিল। ১৪৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে দখলে থাকা এই লাইব্রেরি ভবন সংক্রান্ত একটি মামলায় গত ৮ আগস্ট আইনজীবী সমিতির অনকূলে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাছাড়া হাইকোর্টে রীট পিটিশনের পর এই লাইব্রেরিতে বিবাদী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী পরিচালকসহ নয় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তা সত্ত্বেও ভবনটি দখলের লক্ষ্যে রাতে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এই বারের সম্পত্তি ও ভবন সাতক্ষীরার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক উল্লেখ করে সভাপতি বলেন, সাতক্ষীরার এই বার ভবনে নানা কর্মসূচীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাস্টারদা সূর্য সেনসহ বহু মনীষীর স্মৃতিচিহ্ন।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন, প্রবীণ আইনজীবী একেএম শহীদউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইফতেখার আলি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলি, আকবর আলি, আবদুস সেলিম, খায়রুল বদিউজ্জামানসহ সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।