যুবলীগ নেতাকে সালাম না দেয়ায় এক আইনজীবীকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। ভোলার চরফ্যাশনে গতকাল সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত আদালত বর্জন করে বিচার দাবিতে আইনজীবীরা উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যলয়ে অবস্থান নেন।
পরে উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবদীন আকন্দ ঘটনার বিচার করার আশ্বাস দিলে আইনজীবীরা আদালতে ফিরে যান।
চরফ্যাশন আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মোজাম্মল হোসেন জানান, খাসমহল মসজিদ মার্কেটে আইনজীবীদের চেম্বার। ওই চেম্বার থেকে বেড় হওয়ার সময় অ্যাডভোকেট হারুন ফরাজীর সঙ্গে উপজেলা যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম বিপ্লবের কথাকাটাকাটি হয়। লাঞ্ছিত হন হারুন।
হারুন ফরাজী বিষয়টি আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে জানিয়ে বিচার দাবি করেন। পরে তারা পৌনে ১২টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যলয়ে গিয়ে অভিযোগ তুলে ধরেন।
অপরদিকে বিপ্লব জানান, তিনি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ সভাপতি ছিলেন, বর্তমানে যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় তিনি একটি চা স্টলের সামনে চা খাচ্ছিলেন। ওই দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে এক সময়ের ছাত্রদল ক্যাডার বর্তমানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হারুন ফরাজী বঙ্গবন্ধু সেতু নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করছিলেন।
তিনি জানান, এ সময় তিনি এমন মন্তব্য করা ঠিক নয় বললে, হারুন ক্ষিপ্ত হয়ে তুই সম্বোধন করে কথা বলতে শুরু করেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এর বেশি কিছু হয়নি। হারুন বয়সে অনেক ছোট বলেও জানান বিপ্লব।
স্থানীয়রা জানান, সকালে বিপ্লব একজন লোকসহ চা খাচ্ছিলেন। ওই সময় হারুন তার এক মক্কেলকে নিয়ে পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। বিপ্লবকে দেখে হারুনের মক্কেল সালাম দেন। কিন্তু হারুন হন হন করে চলে যাচ্ছিলেন। ওই সময় বিপ্লব তাকে ডেকে কী ব্যাপার, মুরুব্বিদের দেখছ না বলাতে, হারুন পাল্টা জবাব দেন। এতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।
বিষয়টি আইনজীবীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। সাধারণ আইনজীবীরা বিচার দাবি করতে থাকেন। তবে দুপুরে বিপ্লব আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের কাছে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন বলে জানা গেছে।