বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যায় তার পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। পরে রিটটি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের (কজলিস্ট) কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রিট আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপনের পর হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিব্রতবোধ করে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।
এ রিটের শুনানির জন্য অন্য কোনো কোর্টে যাবেন বলে জানান আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। তিনি জানান, রিটের বিষয়ে শুনানি করতে গেলে সংশ্লিষ্ট কোর্ট ডিলিট করে দিয়েছেন এবং অন্য কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এখন আমরা অন্য কোর্টে যাব। এর আগে সোমবার (১৪ অক্টোবর) রিটটি শুনানির জন্য মঙ্গলবারের (১৫ অক্টোবর) কার্যতালিকায় থাকবে বলে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রিটটি শুনানির জন্য যায়।
গত ১৩ অক্টোবর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিটটি করেন আইনজীবী শাহীন বাবুর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। ক্ষতিপূরণের সঙ্গে হত্যার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত (জুডিশিয়াল ইনকয়ারি) এবং আবরারের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্যও নির্দেশনা চাওয়া হয়।
অ্যাডভোকেট এ কে এম ফয়েজ বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ কোটি টাকা দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। একই সঙ্গে, ওই ঘটনা বিচারিক কমিটি দিয়ে তদন্তের নির্দেশনা ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্দেশনা জারির আর্জি জানানো হয়। এ ক্ষতিপূরণের পুরো টাকা বুয়েটকে দিতে হবে। এ ছাড়া আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় বুয়েট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এ রিটের আদেশ হলে আমরা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটনায়ও শিক্ষার্থীদের জন্যও ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবো।
রিটে বুয়েট কর্তৃপক্ষ, স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, ইউজিসি, ডিএমপি কমিশনার, চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।