হাইকোর্ট
হাইকোর্ট

পরীক্ষা ছাড়াই আইনজীবী: বিচারপতির ছেলের বিরুদ্ধে রিট শুনতে ফের অপারগতা

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির (অ্যানরুলমেন্ট) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ার পরও এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট শুনতে তৃতীয়বারের মতো অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ।

আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অপারগতা প্রকাশ করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানির জন্য ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগেও গত ২৬ নভেম্বর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের এক দ্বৈত বেঞ্চ এবং বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মেস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ থেকেও রিটটি শুনতে অপারাগতা প্রকাশ করা হয়েছিল।

তৃতীয়বারের মতো আদালত রিটটি শুনতে অপরাগতা প্রকাশ করায় মামলাটি আরেকটি আদালতে উত্থাপন করা বা প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় বারবার অনুত্তীর্ণ হওয়ার পরও হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২১ নভেম্বর রিট দায়ের করা হয়। আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ইশরাত হাসান বাদী হয়ে এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় কয়েকবার অংশ নিয়েও কৃতকার্য হতে পারেনি হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলে মো. জুম্মান সিদ্দিকী। অথচ গত ১৯ সেপ্টেম্বর জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে গত ৩১ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

তাই রিটে ওই গেজেট এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অর্ডারের ২১(১)(খ) ও ৩০(৩) ধারা চ্যালেঞ্জ করা হঢ। জুম্মান সিদ্দিকীসহ বার কাউন্সিলের সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।