১২ কোটি টাকা ফি: আইনজীবীর বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট
ঊচ্চ আদালত

দেশের সব আদালতকে ই-জুডিশিয়ার আওতায় আনতে এবং ই-কোর্ট স্থাপনে রিট

দেশের সকল আদালতসমূহকে ই-জুডিশিয়ার আওতায় আনতে এবং ই-কোর্ট স্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। এতে করে মামলাজট কমবে এবং বিচারপ্রার্থীর দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া।

রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে জানান, আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনটি উপস্থাপন করা হবে।

রিটে আইন সচিব, তথ্য-প্রযুক্তি (আইসিটি) সচিব, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, পরিকল্পনা সচিব এবং আইন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অনেক দেশের আদালতসমূহ ই-জুডিশিয়ারির আওতাভুক্ত। যা গ্রীন কোর্ট কনসেপ্টকে প্রতিনিধিত্ব করে। অর্থাৎ বিচার বিভাগ ডিজিটাল হলে কাজগজের ব্যবহার কমবে ফলে গাছ বেঁচে যাবে।

মামলাজটের কারণে বিচারপ্রার্থীর সময় ও সম্পদ (অর্থ) নষ্ট হচ্ছে যা সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ পরিপন্থী। এছাড়া সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারপ্রার্থী মানসম্পন্ন জীবন যাপনে সক্ষম হবে। পাশপাশি ই-জুডিশিয়ারি চালু হলে আদালতের আদেশ অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিপালন করা সহজ হবে। ফলে জামিন আদেশ, সাজা পরোয়ানা মূহুর্তে দেশের সংশ্লিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যাবে। সর্বোপরি বিচার বিভাগ ডিজিটাল হলে দুর্নীতি কমবে। এতে করে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫(৩) অনুযায়ী, ‘ফৌজদারী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্য বিচারলাভের অধিকারী হইবেন।’