কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আইনজীবীদের ভূমিকা রয়েছে। আইনজীবীরা যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সহায়তা করেন। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে সমাজকে পরিশুদ্ধ করতে হবে।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সমিতির সাবেক সভাপতি নুরুচ্ছাফা তালুকদারের নবম স্মরণসভায় রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এরশাদ ও জিয়া বাংলাদেশে স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। শামরিক শাসন দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয় না। সাধারণ মানুষ ন্যায্য অধিকার পায় না। মানবাধিকার নিশ্চিত হয় না। তারা মাইনাস-টু ফর্মূলায় দেশ পরিচালনা করতে চেয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে সংযুক্ত। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে রায় দিতে হবে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতির জনকের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেনকে জাতির জনক দুইবার এমপি বানিয়েছেন। জাতির জনকের হাত ধরে তিনি রাজনীতি শিখেছেন। এখন তিনি আওয়ামী লীগ সরকারকে নিয়ে এমন ভাষা ব্যবহার করেন যা জাতি আশা করেনি।
আইনজীবীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছাফা তালুকদারের আদর্শ নিয়ে আইন পেশায় নিযুক্ত হতে হবে। তিনি ছিলেন সৎ ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি। সত্যকে সত্য বলার মতো সৎ সাহস তার ছিল।
স্মরণসভা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পিতার স্মৃতিচারণ করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ মোক্তার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন মো. জিয়াউদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মুজিবুল হক, আ ক ম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ, আয়ুব খান, অশোক কুমার দাশ, মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী, জেলা পিপি নাজমুল আহসান খান। এতে পরিবারের পক্ষে বক্তব্য দেন মরহুমের সহধর্মিণী অ্যাডভোকেট কামরুননাহার বেগম।
সভায় আইনজীবীরা চট্টগ্রাম জেলায় সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের দাবি জানান।