করোনা সংক্রমণের কারণে দেশে চলছে ভার্চ্যুয়াল আদালত। ভার্চ্যুয়াল আদালতে চলছে রিমান্ড ও জামিন শুনানি। চলছে চেক ডিজনার মামলার ফাইলিংও। এ অবস্থায় ভার্চ্যুয়াল আদালতে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় করা মামলায় মানবিক বিবেচনায় ৩০ আসামির জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ। দীর্ঘদিন পার হওয়ার পরও জামিন শুনানির লিংক না পাওয়ায় প্রধান বিচারপতির কাছে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি।
আজ সোমবার (২২ জুন) আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ ইমেলের মাধ্যেমে প্রধান বিচারপতির নিকট নির্দেশনা চেয়ে এ আবেদন করেন।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে রাজধানী নিউমার্কেট থানায় করা মামলায় মানবিক বিবেচনায় বিডিআর মামলার ৩০ আসামির জামিনের আবেদন করেছি। গত ৩ জুন ছয়জন ও ৮ জুন ২২ জনের পক্ষে জামিনের আবেদন করেছি। বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে করা হত্যা মামলায় আসামিরা খালাস পেয়েছেন। এছাড়া হাইকোর্টেও খালাস প্রাপ্ত হয়েছেন। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে তারা হাজতে। বিচার কবে শেষ হবে তা অনিশ্চিত। করোনার কারণে রেগুলার কোর্ট বন্ধ। কবে রেগুলার কোর্ট চালু হবে তাও অনিশ্চিত। তাই মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিদের জামিন আবেদন করেছিলাম। কিন্তু জামিন শুনানির জন্য লিংক পাঠানো হয়নি আদালত থেকে। আমি এ বিষয়টি অফিস সহকারীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, রেগুলার কোর্ট চালু হলে এ মামলার জামিন শুনানি হবে। ভার্চ্যুয়াল আদালতে এ মামলার জামিন শুনানি হবে না। অথচ ভার্চ্যুয়াল আদালতে জামিন শুনানির জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তাই মাননীয় প্রধান বিচারপতির কাছে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেছি।
এর আগে ৩ জুন বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে রাজধানী নিউমার্কেট থানায় করা মামলায় মানবিক বিবেচনায় বিডিআরের ছয় বেসামরিক কর্মচারীর জামিন আবেদন করা হয়।
তারা হলেন- পাচক সেলিম মিয়া, আব্দুল করিম, শরিফুল ইসলাম, ঝাড়ুদার আব্দুল বারী রুবেল, রাখাল বারেকুজ্জামান ও ডব্লিউ/বি ০৮ ওয়ার্ড বয় আব্দুস সালাম। এরা বিডিআর বিদ্রোহের সময় পিলখানায় বেসরকারি কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক (ভার্চ্যুয়াল কোর্ট) কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এ আবেদন করেন তাদের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ।
আইনজীবী ফারুক আহেম্মদ বলেন, মামলার আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে জেলহাজতে আবদ্ধ। আসামিরা বিডিআর বিদ্রোহের হত্যা মামলা থেকে খালাসও পেয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো আপিলও নেই। তাদের ঘটনার বিষয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেই। এমনকি তাদের নামও কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেনি। দেশের এই পরিস্থিতিতে আসামিদের মানবিক বিবেচনায় জামিন আবেদন করেছি। জাগো নিউজ