ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় অপরাধ প্রমাণে তদন্ত সংস্থা, প্রসিকিউশন ও আইনজীবীরা সমন্বিতভাবে ফরেনসিক ও বৈজ্ঞানিক সাক্ষ্যের ব্যবহার করলে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এছাড়া সাক্ষ্যপ্রমাণে প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করতে হবে। একইসঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তা, বিচারক ও আইনজীবীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান মিলনায়তনে বুধবার (২৩ মার্চ) অনুষ্ঠিত ‘ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় ফরেনসিক ও বৈজ্ঞানিক সাক্ষ্যের ব্যবহার’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শফিকুর রহমান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং কাউন্সিল অব ফরেনসিক সায়েন্স এডুকেটরসের সদস্য কাজী মাহফুজুল হক সুপন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী ও ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিন।
বক্তারা বলেন, অপরাধ প্রমাণে তদন্ত সংস্থা, প্রসিকিউশন ও আইনজীবীরা সমন্বিতভাবে ফরেনসিক ও বৈজ্ঞানিক সাক্ষ্যের ব্যবহার করলে বিচার ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এ কাজে সরকারকেও সহযোগিতা করতে হবে। বিশেষ করে সুরতহাল প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশকে সতর্ক থাকতে হবে। মেডিক্যাল প্রতিবেদন তৈরিতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া সাক্ষ্যপ্রমাণে প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করতে হবে। একইসঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তা, বিচারক ও আইনজীবীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
সেমিনারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন ঢাকা কমিটির সভাপতি মো. পারভেজ। এছাড়া অনুষ্ঠানে ঢাকা বারের কোষাধ্যক্ষ মো. নুর হোসেন, ঢাকা মহানগর বারের সাবেক সহ-সভাপতি মো. মুহিবুর রহমান মিহির, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেজবাহসহ প্রায় তিন শতাধিক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এএইচএম মঞ্জুরুল কবির মাসুদ দরজি।