সাত বছরের বিয়ের বন্ধন ছিন্ন করতে পারিবারিক আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন ভারতের কর্নাটক রাজ্যের বাসিন্দা শিবকুমার ও তাঁর স্ত্রী চৈত্রা। মতবিরোধ দূর করার চেষ্টায় গতকাল শনিবার (১০ আগস্ট) আদালতে তাঁদের দুজনকে নিয়ে একটি কাউন্সেলিং সেশন হয়।
কাউন্সেলিংয়ের সময় বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে আবারও এক হওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিলেন এ দম্পতি। তবে এর কয়েক মিনিটের মাথায় আদালত প্রাঙ্গণেই স্ত্রী চৈত্রার গলায় চাপাতি বসিয়ে দেন শিবকুমার। পরে পুলিশ আহত অবস্থায় চৈত্রাকে হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে মারা যান তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
কর্নাটকের হাসান জেলার হোলেনারাসিপুরা পারিবারিক আদালতে এক ঘণ্টা ধরে সে কাউন্সেলিং সেশন হয়। মতবিরোধ মেটানোর ব্যাপারে দুজন সম্মত হওয়ার পর সেখান থেকে বের হয়ে শৌচাগারের দিকে যান চৈত্রা।
তাঁর পিছু পিছু যান স্বামী শিবকুমার। এরপর চাপাতি দিয়ে চৈত্রার গলা কাটেন। ঘটনার পর শিবকুমার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তবে সেখানে উপস্থিত থাকা লোকজন তাঁকে আটকে ফেলেন।
গুরুতর অবস্থায় চৈত্রাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চৈত্রাকে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যবস্থায় রাখা হয়েছিল। গলা গভীরভাবে কেটে যাওয়ায় তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। একপর্যায়ে মারা যান চৈত্রা।
শিবকুমারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি কীভাবে আদালত প্রাঙ্গণে অস্ত্র নিয়ে ঢুকেছেন, তা জানতে তদন্ত করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
হাসান জেলার জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা হরিরাম শঙ্কর বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা তাঁকে আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। এ অপরাধকর্মে তিনি যে অস্ত্রটি ব্যবহার করেছেন, তা জব্দ করা হয়েছে।
কাউন্সেলিং সেশনের পর কী ঘটেছিল এবং তিনি কীভাবে অস্ত্র নিয়ে আদালতের ভেতরে ঢুকতে পেরেছিলেন, তা আমরা তদন্ত করব। এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল কি না, তা তদন্তে বিস্তারিতভাবে জানতে পারব আমরা।’
সূত্র : প্রথম আলো