আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির লিখিত পরীক্ষা কেন্দ্রে সংগঠিত বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা ও ভাংচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত ৪২ জন আসন্ন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। সারাদেশে আইনজীবীদের সনদ প্রদান ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এনরোলমেন্ট লিখিত পরীক্ষার ৫টি কেন্দ্রে সংগঠিত বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা ও কেন্দ্র ভাংচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
এপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীরা নোটিশের জবাব দাখিল করেন। দাখিতকৃত জবাব ও তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির সভায় পর্যালোচনা করা হয়।
তবে জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় এনরোলমেন্ট কমিটি অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেককে বার কাউন্সিলের পরবর্তী একটি এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় (এমসিকিউ, লিখিত ও মৌখিক যার ক্ষেত্রে যে পরীক্ষা প্রযোজ্য) অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে।
অভিযুক্তদের তালিকা দেখতে লিংকে ক্লিক করুন।
বার কাউন্সিল থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তির অভিযুক্তদের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আসন্ন লিখিত পরীক্ষায় ৪২ জন অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এছাড়া ২০২১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ২১ জন মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির লিখিত পরীক্ষায় ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে বিশৃঙ্খলা হওয়া ৫টি কেন্দ্রের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে ওই পাঁচ কেন্দ্রের পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণ করা হয়।
পাশাপাশি পরীক্ষা কেন্দ্রে ভাংচুর, বিশৃংখলাসৃষ্টিকারী তাছাড়াও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতিসহ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান, সদস্যসহ বার কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারী ও পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশৃংখলা সৃষ্টিতে উস্কানিদাতা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সেই সাথে তাদের বিরুদ্ধে বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটি কর্তৃক উপর্যুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।