বকেয়া ও অপরিশোধিত মজুরী এবং অবসরজনিত সুবিধাদি বাবদ প্রায় তিন কোটি টাকা দাবী করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও এর তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত রবিবার (২৩ অক্টোবর) দায়ের করা এই মামলার বাদী হলেন মোঃ আলম মিঞা ওরফে মোঃ ইসমাইল। তিনি ৭ এপ্রিল ১৯৮২ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৯ বছর আইএলও’র ঢাকাস্থ কার্যালয়ে মেসেঞ্জার/ক্লিনার পদে চাকুরী করেন। মামলার নম্বর হ’ল বিএলএ (মজুরী) মামলা নং- ১০১৯/২০২২। মামলার শুনানির ধার্য দিন ১১ ডিসেম্বর ২০২২।
মামলার অন্যান্য বিবাদীগণ হলেন- আইএলও’র ডাইরেক্টর জেনারেল (মাহাপরিচালক), বাংলাদেশস্থ কান্ট্রি ডাইরেক্টর এবং বাংলাদেশ অফিসের এডমিন এন্ড ফাইনান্স অফিসার।
মামলার আর্জি অনুসারে, আইএলও কর্তৃক পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে আবেদন করে আলম মিঞা প্রথমে মেসেঞ্জার/চৌকিদার পদে নিযুক্ত হন এবং তিনি উক্ত সংস্থার ঢাকা কার্যালয়ে ০৭ এপ্রিল ১৯৮২ তারিখ যোগদান করে অত্যন্ত নিষ্ঠা, সততা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেন। অবসরের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০২০। তাঁর কাজের প্রত্যক্ষ তত্বাবধায়ক ছিলেন উক্ত সংস্থার নিয়মিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিভিন্ন সময়ে আলমের তাঁর ছুটি মঞ্জুর করেছেন আইএলও’র তৎকালীন কান্ট্রি ডাইরেক্টর ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ।
আলমের পাওনা বাবদ দাবী বকেয়া ও অপরিশোধিত মজুরী খাতে ২ কোটি ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৮৯৬ টাকা এবং গ্র্যাচুইটি হিসেবে ৩৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৫০ টাকা। এছাড়া নির্ধারিত সময়ে উক্ত পাওনা পরিশোধ না করায় শ্রম আইনের বিধানমতে জরিমানা বাবদ দাবী ৬০ লাখ ৪৮ হাজার ২১১ টাকা। যা সব মিলিয়ে ৩ কোটি ২ লাখ ৪১ হাজার ৫৭ টাকা।
মামলার অভিযোগ মতে, আলম গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ অবসরে গেলেও উক্ত নিয়োগকারী সংস্থা আইন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাঁর প্রাপ্য বকেয়া ও অপরিশোধিত মজুরী এবং সার্ভিস বেনিফিট বাবদ প্রাপ্য পরিশোধ করেনি। এই বিষয়ে উক্ত সংস্থার কাছে আবেদনপত্র দাখিল করলেও তাতে কোন কাজ হয়নি; তাই এই মামলা দায়ের। বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর অবগত; এবং তাদেরকেও মামলায় মোকাবেলা-প্রতিপক্ষ করা হয়েছে।