সিরাজগঞ্জের আদালত থেকে আবারও নথি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এবার সহকারী জজ আদালতের (কামারখন্দ) সেরেস্তাকক্ষ থেকে দেওয়ানি মামলার বেশ কিছু নথি চুরি হয়ে গেছে। তবে চুরি যাওয়া নথির সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত রোববার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাকক্ষ খুললে মেঝেতে বেশ কিছু নথি এলোমেলো পড়ে থাকতে দেখেন কর্মচারীরা। এ সময় তাঁরা দেখেন, আলমারিতে রাখা মামলার নথিগুলো নেই। ওই কক্ষের জানালার লোহার পাতিও ভাঙা ছিল।
ওসি হুমায়ন কবির বলেন, খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় ওই দিনই জজ আদালতের নাজির ওসমান গণি বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন।
বারবার নথি চুরির বিষয়ে ওসি বলেন, বারবার চুরির বিষয়টি কারা ঘটাচ্ছে, সেটি এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবে বলে তিনি জানান।
এর আগে গত ২০ ও ২১ মার্চ পরপর দুই রাতে সিরাজগঞ্জ পুরোনো কালেক্টরেট ভবনে ভিপি (ভেস্টেট প্রপার্টি-অর্পিত সম্পত্তি) কৌঁসুলিদের কক্ষের তালা ভেঙে কয়েকটি আলমারি থেকে অন্তত ৬০০ মামলার নথি চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া বেশ কিছু পুরোনো ডায়েরিও গায়েব হয়ে যায়।
এরপর ২২ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আবার চুরির চেষ্টা হয়। এসব ঘটনার তদন্তে ২২ মার্চ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক।
সরকারি কৌঁসুলি আবদুল ওয়াহাব বলেন, আগের ৬০০ নথি চুরির ঘটনায় মামলা করা হয়েছিল। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত বা গ্রেপ্তার না করে ওই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পুলিশ। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কেও তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোবারক হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনা সরেজমিন তদন্ত করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান।’