রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান ও বনানীতে অনুমোদনহীন মদ এবং মাদকের শ্রেণিভুক্ত সিসা বার বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ (আইনি নোটিশ) পাঠানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী জুনু গত বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) ডাক যোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিদের প্রতি এই নোটিশ পাঠান।
লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী বলেন, নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব বার বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। না হলে প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করা হবে।
নোটিশে বলা হয়েছে, লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার মাধ্যমে অবগত হই, গুলশান-বনানীসহ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় অনুমোদনহীন বার খুলে মদ বিক্রি হচ্ছে। গুলশান, বনানীর বিভিন্ন লাউঞ্জ-রেস্টুরেন্টের আদলে প্রকাশ্যে মাদক মিশ্রিত সিসা বিক্রি হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, দেশের প্রচলিত আইনে সিসাকে মাদকের শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সিসা বিক্রি ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে শাস্তির বিধান। বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে আরও জানতে পারি যে, বনানী ১১ নম্বর রোডের একটি রেস্টুরেন্ট সিসা বিক্রি করছে। এছাড়া বনানীর কামাল আতার্তুক অ্যাভিনিউয়ে বারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে সিসা।
অন্যদিকে গুলশান এলাকায় রেস্টুরেন্টে সিসা বার পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া গুলশান অ্যাভিনিউয়ে রয়েছে অবৈধ সিসা বার।
নোটিশে আরও বলা হয়, এভাবে গুলশান-বনানীতে ৫০ এর অধিক সিসা বার অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে বলে পত্রিকার মাধ্যমে অবগত হই।
‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮’ তে সিসাকে মাদকদ্রব্যের ‘খ’ শ্রেণির তালিকায় রেখে সিসার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, সিসা অর্থ বিভিন্ন ধরনের ভেষজের নির্যাস সহযোগে শূন্য দশমিক ২ শতাংশে ঊর্ধ্বে নিকোটিন এবং এসেন্স ক্যারামেল মিশ্রিত ফ্রুট স্লাইস সহযোগে তৈরি যে কোনো পদার্থ।
মাদক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এটি বিক্রি ও সেবনের অপরাধ প্রমাণিত হলে ন্যূনতম এক বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও নগদ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।