প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চলচ্চিত্র নায়িকা হিসেবে পরিচয়দানকারী জেবা চৌধুরী জয়া ওরফে ফরিদা পারভীনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডের পাশাপাশি তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) মামলার বাদী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুব হাসান রানা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজাহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
অ্যাডভোকেট মাহবুব হাসান রানা বলেন, প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় দুই বছর ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৬ ধারায় এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ের সময় আসামি জেবা চৌধুরী পলাতক থাকায় তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর বা আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর এই রায় কার্যকর হবে বলেও জানান মামলার বাদী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদীর কাছে জেবা চৌধুরী একটি গাড়ি (প্রাইভেট কার) ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। একটি চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ২০২২ সালের ২০ মার্চ জেবা চৌধুরী সব টাকা বুঝে নেন। তবে গাড়ির কাগজপত্র আপডেট না থাকায় গাড়ি হস্তান্তর করেননি।
চুক্তিপত্রে বলা হয়েছিল বিআরটিএ থেকে সমস্ত কাগজপত্র ঠিক করে ১৫ দিনের মধ্যে গাড়ি হস্তান্তর করবেন। কিন্তু বাদীর টাকা নিয়ে আসামি আর গাড়ি হস্তান্তর করেননি।
পরে ২০২২ সালের ৮ মে বাদী প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর আসামি গ্রেপ্তার হন। এরপর জামিনে গিয়ে পলাতক হন।
চলতি বছর ৮ জুন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিচার চলাকালে তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন আদালত।