‘ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপী’র পক্ষ নিয়ে ‘বেআইনী’ আবেদন করায় পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তারেক রিয়াজ খানকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
চট্টগ্রাম অর্থ ঋণ আদালতের বিচারক যুগ্ম জেলা জজ মুজাহিদুর রহমান বৃহস্পতিবার (২ মে) এ আদেশ দেন।
আদালত নথি সূত্র্রে জানা যায়, একজন ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপীকে আইনের শর্ত পূরণ ছাড়া জামিনের এবং সম্পত্তি অবমুক্ত করায় আবেদন করায় পদ্মা ব্যাংক লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবরে আদেশ পাঠানো হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আগামী ৯ মে এর মধ্যে পদ্মা ব্যাংক এমডিকে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতের নথি সূত্রে জানা গেছে, ‘পদ্মা ব্যাংকের ৮৮ কোটি টাকার ঋণ খেলাপীর দায়ে চট্টগ্রামের জেসিকা গ্রুপের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের পক্ষে বাদী ব্যাংক যৌথভাবে আবেদন করলে আদালত এ নির্দেশ দেন। আবেদনে বিবাদীর বিরুদ্ধে ইস্যু করা ওয়ারেন্ট রিকল এবং সম্পত্তি জব্দের আদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কোনো লিখিত মঞ্জুরিপত্র ছাড়া বিবাদীর পক্ষে দরখাস্ত করায় আদালত বিস্ময় প্রকাশ করেন।’
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, ‘অর্থঋণ আদালত আইনের ৩৪ (৬) ধারা অনুযায়ী, ৮৮ কোটি টাকার ২৫ শতাংশ হিসেবে ২২ কোটি টাকা পরিশোধ না করায় এবং তারিখবিহীন চেক গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় ডিক্রিদার পদ্মা ব্যাংকের যৌথ দরখাস্ত না মঞ্জুর করেন আদালত।’
তিনি বলেন, ‘ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপীকে জামিন দেওয়াতে পদ্মা ব্যাংক মরিয়া বলেও আদালত উল্লেখ করেছেন। বিবাদীর বিরুদ্ধে ৩০ এপ্রিল ৫ মাসের দেওয়ানী আটকাদেশসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর আগে আসামির বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা ও তার সম্পদ জব্দ করারও আদেশ দিয়েছে আদালত।’
পদ্মা ব্যাংকের প্যানেল আইনজীবী রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, ‘শর্ত পূরণ না করে এ আবেদন করায় পদ্মা ব্যাংকের এমডির কাছে এর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমারা এখনো লিখিতভাবে পাইনি। পেলে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’