আশুলিয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর সড়কের ওপর ফেলে যাওয়া এক কিশোরী পোশাক শ্রমিককে উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয় কয়েক যুবক। এমনকি এ ঘটনায় কথিত প্রেমিক ধর্ষণকারী রাসেলকে আটক করে পুলিশেও সোপর্দ করে তারা। অথচ ঘটনার প্রায় এক মাস পর আশুলিয়া থানা পুলিশ উদ্ধারকারী দুই যুবককে ডেকে নিয়ে আটকের পর আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে। ওই দুই যুবকের নাম ইমরান (২৬) ও সোহাগ (১৭)। তারা জামগড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
মামলার বাদী ধর্ষণের শিকার কিশোরী পোশাক শ্রমিক জানান, বখাটে রাসেল ও তার বন্ধুরা তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে অচেতন অবস্থায় স্থানীয় একটি সড়কে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় ইমরান ও সোহাগসহ কয়েকজন যুবক তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকারী ওই যুবককে আটকের খবর পেয়ে তিনি ও তার মা থানায় এসে বিষয়টি আশুলিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি, ইন্টেলিজেন্স) ওবায়দুর রহমানকে জানান। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে ছাড়েনি।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, ইন্টেলিজেন্স) ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে ওই দুই যুবকের নাম এসেছে। তাই তাদেরকে আটক করা হয়েছে।’
এদিকে আটক ইমরানের মা লাল বানু ও সোহাগের মা রেখা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তাদের ছেলেরা নির্দোষ। ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইমরান ও সোহাগ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত না করেই বিনা অপরাধে তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জানা নেই। তবে এখন খতিয়ে দেখা হবে।’
উল্লেখ্য, আশুলিয়ার নর্থ হেয়ার বিডি কোম্পানি লিমিটেড কারখানার এক নারী শ্রমিককে কৌশলে তার কথিত প্রেমিক রাসেল মিয়াসহ কয়েকজন গত ১২ জানুয়ারি বিকালে জিরানী এলাকায় নিয়ে গণধর্ষন করে সড়কের ওপর ফেলে রেখে যায়। তাকে অচেতন অবস্থায় স্থানীয় কয়েক যুবক উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে নারী শ্রমিকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ রাসেলকে আটক করে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার কিশোরীর মা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় রাসেলসহ অজ্ঞাত পাঁচ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। বাংলাট্রিবিউন