বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাসিক টিউশন ফি নির্ধারণে নীতিমালা করার দাবিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমবার (৮ জুলাই) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. মো. ইউনূস আলী আকন্দ।
নোটিশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বাদী করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ জানান, নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে।
নোটিশে বলা হয়, কোনো কারণ ছাড়াই বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শিক্ষা সেমিস্টার শুরু হওয়ার আগেই প্রতি সেমিস্টারের টিউশন ফি প্রায় লাখ টাকা নেওয়া হয়। কোনো শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফি জমা না দিতে পারলে তার ওপর প্রতিদিন ১০০ টাকা হিসাবে জরিমানা আরোপ করা হয়। যা কম্পিউটারে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হতে পারবে ৭৫ শিক্ষার্থী
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৫০ বা ১০০ শিক্ষার্থী ভর্তিতে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৮ হাজার বা ১০ হাজার টাকা টিউশন ফি নেওয়ার জন্য সরকার ধার্য করে দেয়। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সরকার এ ধরনের কোনো ফি নির্ধারণ করে দেয়নি।
সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও টিউশন ফি নির্ধারণ করে দিয়েছেন সরকার। কিন্তু অগ্রিম টিউশন ফি ও অগ্রিম জরিমানা নেওয়ার কোনো নীতিমালা বা আইন নেই। এ বিষয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনেও নেই এবং বিধিমালায়ও নেই এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আইনেও নেই।
নোটিশে আরও বলা হয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এভাবে প্রতি সেমিস্টারে কোটি কোটি টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করে, সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং ৮ ও ১৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শিক্ষা খরচ ফ্রি, কিন্তু এখন সংবিধান লঙ্ঘন করে অযৌক্তিকভাবে ওইভাবে ফি আদায় হচ্ছে এবং এ বিষয়ে সরকারও নিষ্ক্রিয়।
এতে নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিমানার টাকা প্রত্যাহার করা এবং জরিমানা নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে টিউশন ফি কমিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করা হয়।
এ বিষয়ে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাসিক টিউশন ফি নির্ধারণ করার নীতিমালা করে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করা হয়।
এর ব্যর্থতায় সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।