অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতির মধ্যে এখনো ৪ জনের বিষয়ে তদন্ত করছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
গত বছরের ১৬ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ এবং ‘ফ্যাসিস্ট’ বিচারপতিদের পদত্যাগ ও অপসারণ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১২ বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়। তাঁদের নাম সে সময় প্রকাশ করা হয়নি।
এরপর প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকটি অগ্রগতি ঘটে—
-
বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন অভিযোগ অনুসন্ধানের মধ্যেই গত ৩০ জানুয়ারি পদত্যাগ করেন।
-
বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান গত ৩১ আগস্ট রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন, যা রাষ্ট্রপতি ৭ সেপ্টেম্বর গ্রহণ করেন।
-
পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর বিচারপতি খিজির হায়াতকে এ বছরের ১৮ মার্চ এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে ২১ মে অপসারণ করেন রাষ্ট্রপতি।
-
বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান (৩০ ডিসেম্বর ২০২৪) ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস (৩০ জানুয়ারি ২০২৫) অবসর গ্রহণ করেন।
-
বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন স্থায়ী নিয়োগ না পেয়ে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে তাঁদের মেয়াদ শেষ করেন গত ৩০ জানুয়ারি।
ফলে এখনো চারজন বিচারকের বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে একসময় বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে নেওয়া হয়েছিল। তবে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ সেই সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। আপিল বিভাগের রিভিউ রায়ের পর গত বছরের ২০ অক্টোবর থেকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ক্ষমতা পুনরায় কার্যকর হয়।
বর্তমানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত এ কাউন্সিলে রয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।