দেশে মোট কত খাস জমি আছে তা চিহ্নিত করতে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। জমিগুলোর বর্তমান অবস্থা, ব্যবহার ও কতখানি জমি বেদখলে রয়েছে, এসব তথ্য সংগ্রহ করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি জানান, ভূমি ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন। জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে নিয়ে তারা সারাদেশে খাস জমির হিসাব করবেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভূমি অধিগ্রহণ বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কারণে কৃষি জমিও কমে যাচ্ছে। খাস জমি ব্যবহার করা গেলে সরকারি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার অন্যতম কারণ ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতা। প্রস্তাব তৈরির সময়ই বিলম্বের সম্ভাবনা অনুমান করা হলেও বাস্তবে তা সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না। এর ফলে অধিকাংশ প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে শেষ হয়।
সভায় জানানো হয়, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিপুল খাস জমি অব্যবহৃত পড়ে আছে। কোথাও কোথাও অবকাঠামো নির্মাণ হলেও তা ব্যবহার হচ্ছে না। এই বাস্তবতা মাথায় রেখে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও সিদ্ধান্ত হয়, আগামী দুই মাসের মধ্যে খাস জমির তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণ করা হবে। ভবিষ্যতে নতুন কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা অবকাঠামো প্রকল্পে জমি প্রয়োজন হলে প্রথমেই নিকটবর্তী অব্যবহৃত খাস জমি ব্যবহারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।