প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সহজ ও সাশ্রয়ী মূল্যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গ্রাম আদালতকে আরও শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত “গ্রামীণ নারী ও প্রান্তিক জনগণের জন্য জেন্ডার-সংবেদনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গ্রামীণ আদালত সেবার গুরুত্ব” শীর্ষক জাতীয় গোলটেবিল বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মুমতাজ আহমেদ বলেন, গ্রাম আদালতকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। বিচারকার্যে নারীদের অন্তর্ভুক্তি ও পাঠ্যপুস্তকে গ্রাম আদালতের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও তিনি জোর দেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বলেন, গ্রাম আদালতকে কার্যকর করতে হলে নারীর অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উচ্চ আদালতের দীর্ঘসূত্রিতা ও ব্যয়ের বিকল্প হিসেবে গ্রাম আদালত ইতোমধ্যে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। তিনি জানান, প্রকল্পের মেয়াদ শেষে এই কার্যক্রম সরকারিভাবে চালিয়ে যাওয়ার উদ্যোগও চলছে।
প্রকল্পের জেন্ডার অ্যানালিস্ট শামীমা আক্তার শাম্মী বলেন, কাঠামোগত ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে নারীরা প্রায়ই ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন। ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত গ্রাম আদালতে ১,৩৬,৮০৮টি মামলা দায়ের হয়েছে, যার মধ্যে ৩৬,৯৬২টি মামলা নারী আবেদনকারীর। তবে তথ্যের অভাব, জটিলতা ও সামাজিক সীমাবদ্ধতা এখনও বড় চ্যালেঞ্জ।
জাতীয় মহিলা সংস্থা, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন সংস্থা, একাডেমিয়া ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধি—সবাই বলেন, নারী ও প্রান্তিক জনগণের জন্য সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।