বিএনপির আইন সম্পাদকসহ ১০ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা

একজন মানবিক মানুষ: ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে অসহায়দের জীবনে নতুন আলো

ঢাকা, ১৩ অক্টোবর ২০২৫: দীর্ঘ সাত বছরের কষ্টের পর অবশেষে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে সাত বছরের শিশু মুকাব্বির হোসেন রানা। জন্ম থেকেই মাথায় টিউমার নিয়ে ভোগা এই শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, যিনি নিজ উদ্যোগে চিকিৎসার সব ব্যয়ভার বহন করে শিশুটিকে ফিরিয়ে আনছেন স্বাভাবিক জীবনে।

রানাকে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর ও ৯ অক্টোবর দুই ধাপে তার সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। বর্তমানে সে সুস্থতার পথে, চিকিৎসকদের ধারণা অনুযায়ী কয়েক দিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন,

“তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। রানা এখন হাসতে পারছে, ঘুমাতে পারছে—এটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই মানবিক কার্যক্রম ইনশাআল্লাহ অব্যাহত থাকবে।”

চোখের আলো ফিরেছে শত শত মানুষের

মানবিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এখন পর্যন্ত ১১ ধাপে ৪৫০ জনের চোখের অপারেশন করিয়েছেন। সর্বশেষ গত শনিবার দুর্গাপুরের বিরিশিরি ইউনিয়নের কাপাসাটিয়া বাজারে ৬৫ জন রোগীর মধ্যে চশমা বিতরণ করা হয়।

তিনি জানান,

“দুর্গাপুরের সব রোগীর চশমা বিতরণ শেষ করেছি। এখনো ৪৮১ জনের অপারেশন বাকি আছে, ধাপে ধাপে সবার চোখের আলো ফিরিয়ে আনব।”

চশমা বিতরণে উপস্থিত ছিলেন ডা. ইমরান কাদের রুবেল, মিসেস লুসি রাংসা, মিনারা আক্তার, প্রতিমা রানী সরকার, মমতা নাগসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

রোগীরা জানান, বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও চশমা পেয়ে তারা আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরেছেন।

ক্যান্সার আক্রান্ত রবিনার লড়াইয়ে পাশে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

দুর্গাপুরের ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী রবিনা খাতুন দ্বিতীয় কেমোথেরাপি নিয়েছেন ৩ অক্টোবর।

তার চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামালের মানবিক টিম। তিনি বলেন,

“আমার মা ক্যান্সারে ভুগে মারা গেছেন, তাই বুঝি এই যন্ত্রণা কত গভীর। সবাই রবিনার জন্য দোয়া করবেন।”

রশিদ মিয়ার গ্যাংগ্রিন অপারেশন ও ফিরে আসা

দুর্গাপুরের বিরিশিরি ইউনিয়নের রশিদ মিয়া, যিনি দীর্ঘদিন গ্যাংগ্রিনে ভুগছিলেন, ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।

২৯ সেপ্টেম্বর তার সফল অপারেশন সম্পন্ন হয়, যদিও রোগের বিস্তার ঠেকাতে পায়ের একটি অংশ কেটে ফেলতে হয়েছে।

বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

হার্নিয়া আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা সহায়তা

কলমাকান্দার ঘোষপাড়া গ্রামের ৬ বছরের আরাফাত, দীর্ঘদিন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিল। ব্যারিস্টার কায়সার কামালের টিম তাকে ময়মনসিংহের চরপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করায়।

ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তার হার্নিয়া অপারেশন প্রয়োজন, এবং সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

হার্ট অপারেশনে নতুন জীবন পেল ৩ বছরের মরিয়ম

একই গ্রামের ৩ বছর বয়সী মরিয়ম জন্ম থেকেই হার্টের ছিদ্র নিয়ে ভুগছিল। ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয় তাকে।

৩০ সেপ্টেম্বর সফলভাবে তার অপারেশন সম্পন্ন হয় এবং এখন সে সুস্থতার পথে।

কিডনি রোগে আক্রান্ত কৃষ্ণ হাজং এর চিকিৎসায় ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

দুর্গাপুরের কৃষ্ণ হাজং। একজন পরিপর্ণ যুবক- যিনি জন্মেছিলেন দেশের সীমান্তবর্তি এলাকা, মেঘালয়ের কোল ঘেঁষা গাড়ো পাহাড়ের আদিবাসী গ্রামের এক হাজং পরিবারে, প্রত্যাশা ছিল তিনি পরিবারের হাল ধরবেন ।

কিন্তু বিধি বাম, কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে কৃষ্ণের হল ধরতে ধরতে তার পরিবার ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্যোগে ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের তত্ত্বাবধানে এখন তার চিকিৎসা চলছে।

কৃষ্ণ হাজং এর অসুস্থতায় পরিবারের ভরসার স্বপ্ন যেন থেমে গেছে। ময়মনসিংহে প্রাথমিক চিকিৎসার পর, সম্প্রতি ঢাকার পিজি হাসপাতালে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। পরিবারটি আশায় বুক বেঁধেছে তাদের সন্তান যেন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমরা দায়িত্ব নিয়েছিলাম কৃষ্ণ হাজং এর সমুদয় চিকিৎসার। ডায়লাসিস করে আর হচ্ছে না, তার কিডনি প্রতিস্থাপনই একমাত্র ভরসা। আর তাই তো এগিয়ে এলেন গর্ভধারিণী মা। তিনি তার একটি কিডনি দান করবেন কলিজার টুকরা সন্তানকে বাঁচানোর জন্য। ঢাকার পিজি হসপিটালে চিকিৎসা তথা কিডনি প্রতিস্থাপনের আনুসঙ্গিক কাজ শুরু হয়েছে। সবার কাছে বিনীত অনুরোধ, আসুন আমরা প্রার্থনা করি যেন কৃষ্ণ হাজং পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে তার পরিবারের হাল ধরতে পারেন।

মানবতার সেবায় এক প্রতিশ্রুতিশীল যাত্রা

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন,

“আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। যারা অসহায়, যারা বাঁচার জন্য লড়ছে, তাদের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের আসল দায়িত্ব। আল্লাহ তায়ালা যেন এই কাজের তৌফিক দান করেন।”

তার মানবিক উদ্যোগ শুধু রাজনৈতিক নয়—এটি এখন মানুষের বিশ্বাসের প্রতীক। চিকিৎসা, আর্থিক সহায়তা, কিংবা চোখের আলো ফেরানো—সব ক্ষেত্রেই তিনি প্রমাণ করেছেন, একজন রাজনীতিকও মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জীবন বদলে দিতে পারেন।