চলতি মাসের মধ্যে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি না হলে ফের আন্দোলন

 

চলতি মাসের মধ্যেই কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ না হলে ফের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম-আহবায়ক ফারুক হোসেন।

ফারুক হোসেন বলেন, নিয়মানুযায়ী সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দুই-তিনদিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার কথা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততার কারণে সেটি একটু দেরী হচ্ছে। তবে চলতি মাসের মধ্যে এই প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আগামী মাস থেকে সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ আবারও আন্দোলনে নামবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম-আহবায়ক নুরুল হক নূর বলেন, ঢাবির উপাচার্যের বাসভবনে যারা হামলা চালিয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়। তারা বহিরাগত। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ হামলা চালিয়েছে।

ঢাবিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে নুরুল হক বলেন, তাদের যেন কোনোভাবে হয়ারনি করা না হয় সেইবিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাই। এছাড়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল সকল বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

গত ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার পর গেজেট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হয় আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে।

এরআগে কয়েকদিনের ধারাবাহিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দেন।

সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে বারবার আন্দোলন হতে পারে, দুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে, তাই যেন আর এ ধরনের দুর্ভোগের সৃষ্টি না হয়, সেজন্য কোটা পদ্ধতিই বাতিল।