ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে আবারো মামলা

বিএনপি সমর্থক পেশাজীবী নেতা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে এবার হামলা, মারপিট ও চাঁদা দাবির অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে আশুলিয়া থানায়। এ নিয়ে মাছ চুরি, ফল চুরিসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে এখন পর্যন্ত আশুলিয়া থানায় সাতটি মামলা হলো।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছাত্রীদেরকে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সাজানো নারী নির্যাতনের মামলা ও ছাত্রদের ব্যবহার করে হামলার পরামর্শ দেওয়ার বিষয়ে এক কর্মকর্তার সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর মামলাটি দায়ের করা হলো।

আজ বুধবার (৭ নভেম্বর) ভোররাতে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসিন্দা ও মির্জানগর এলাকার দ্য কটন টেক্সটাইল মিলের চেয়ারম্যান কাজী মহিবুর রব বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও নির্বাহী পরিচালক ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল ইসলাম শিশিরসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০-৬০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

কাজী মহিবুর রবসহ ডা. জাফরুল্লার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তিনজন বাদীর পক্ষে গত ৪ নভেম্বর বিকেলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। গণস্বাস্থ্যের দখলে থাকা জমির মালিকানা দাবি করে ওই সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় আহত হয় অন্তত ১৫ জন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সর্বশেষ মামলাটি দায়ের করা হয়।

এর আগে মির্জানগর এলাকার দ্য কটন টেক্সটাইল মিলের চেয়ারম্যান কাজী মহিবুর রব দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। যে মামলায় গত ২৯ অক্টোবর আগাম জামিন নিতে গেলে শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।

চুরি, চাঁদা দাবি ও জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগে এর আগে ১২, ১৫, ১৯, ২১ ও ২৩ অক্টোবর, ২ নভেম্বর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা হয়।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েই মামলাগুলো নেওয়া হয়েছে।

ইতিপূর্বে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে সেনাপ্রধান সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য দেওয়ায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। গত ১২ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মেজর এম রাকিবুল আলম একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ওই সাধারণ ডায়েরিটি গত ১৫ অক্টোবর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।