চার মাসের সাজার আপিল নিষ্পত্তি হয়নি ৪৯ বছরেও
উচ্চ আদালত

কৌশলে আসামির জামিন করানো হাইকোর্টের কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ ও তথ্য গোপন করে কৌশলে জামিন করিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ফৌজদারি মিস শাখায় অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত অনুবাদক মোঃ মশিউর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রেজিস্ট্রার জেনারেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, উচ্চ আদালতের কর্মচারী মোঃ মশিউর রহমান তার বন্ধু মুদ্রাক্ষরিক তথা অফিস সহকারী মেহেদী হাসানের কাছ থেকে একটি মামলার কাগজপত্র গ্রহণ করেন। এরপর আইনজীবী সহকারী সুমিতের মাধ্যমে অ্যাডভোকেট আব্দুল মুকিতকে মামলার কাগজপত্র প্রদান করে সোহেল মোল্লা নামক এক আসামীর জামিনের দায়িত্ব নেন। আইনজীবী আব্দুল মুকিত মামলাটি প্রস্তুত করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে তালিকাভূক্ত করলে আনুমানিক গত ২৩ মে আদালত ‘Not Pressed Rejected’ আদেশ দেন। পরে সংশ্লিষ্ট কোর্টের কর্মচারী রাজিব ও মিজানের মাধ্যমে বর্ণিত আদেশ সংশ্লিষ্ট নথিতে এন্ট্রি না করে এবং বিচারপতিদের স্বাক্ষর না নিয়ে জনৈক আইনজীবী মুহুরিকে দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসেন মশিউর রহমান। পরবর্তীতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে অপর দুটি আদালতের কার্যতালিকাভূক্ত করেন। যার ধারাবাহিকতায় পূর্ব ঘটনা গোপন করে একটি কোর্ট থেকে গত ৩০ জুন আসামি সোহেল মোল্লার জামিন হয়। মশিউর রহমান আসামি সোহেল মোল্লার মামার সাথে এ বিষয়ে কথোপকথন করেন এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে ১৫ হাজার টাকা লেনদেন করেন।

পরে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ১৯৮৩ এর ২(২) সংশোধিত প্রজ্ঞাপন ১৯৮৯ এর ২(৪) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণের শামিল এবং বিধিমালার ৩(বি) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) একই বিধিমালার ১০(১) অনুযায়ী মোঃ মশিউর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।