চার মাসের সাজার আপিল নিষ্পত্তি হয়নি ৪৯ বছরেও
উচ্চ আদালত

হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পরও মামলা পরিচালনা করায় বিচারককে তলব

উচ্চ আদালতের আদেশে মামলা স্থগিতের পরও মামলা পরিচালনা করায় এবং মামলার তদন্তে আসামিদের রিলিজ দেয়ার পরও তাদের অব্যাহতি না দেয়ায় কিশোরগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারককে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আগামী ৩ ডিসেম্বর এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

আদালতে বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আতিকুর রহমান।

গত ২৭ জুন আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয় বাদীর পিতা ৯নং চৌদ্দশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক খোকার কাছে মো. আতাহার আলী, সিরাজ উদ্দিন, লুৎফর রহমান ওরফে জমশেদ ও মো. জুবায়েরসহ ১৩ জন চাঁদা না পেয়ে হামলা করে। বাদী আইনজীবী হওয়ায় তার প্রভাবে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি সিদ্ধান্ত নেয় সমিতির সদস্যদের কেউ বাদী হয়ে মামলা করলে সে মামলায় আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী লড়তে পারবেন না।

মামলার ১ থেকে ১১ নম্বর আসামি হাইকোর্টের বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আট সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। একইসঙ্গে, কিশোরগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এ বিষয়ে ৩১ জুলাইর মধ্যে ব্যাখ্য তলব করেন।

৩১ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন এবং মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।

এরপরও মামলার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন বিচারক। এর প্রেক্ষিতে লুৎফর রহমান ওরফে জমশেদ ও মো. জুবায়ের হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানিতে কিশোরগঞ্জের এই বিচারককে তলব করেন হাইকোর্ট।