বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন

কুড়িগ্রাম আদালতের ক্যাশিয়ারকে মোবাইল কোর্টে সাজা : এসোসিয়েশনের নিন্দা

কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতের ক্যাশিয়ার মোঃ আনসার আলী ও অফিস সহায়ক মোঃ মোশারফ আলীকে মোবাইলে কোর্টে সাজা দেয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহ মোঃ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সালাউদ্দিন দিদার সাক্ষরিত এই প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ‘কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতের ক্যাশিয়ার মোঃ আনসার আলী ও অফিস সহায়ক মোঃ মোশারফ আলী গত ০৪/৫/২০২০ খ্রিঃ তারিখ সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, কুড়িগ্রাম শাখা হতে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতের কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৫,৮০,১৩০/= (পাঁচ লক্ষ আশি হাজার একশত ত্রিশ) টাকা উত্তোলন পূর্বক দুপুর ০১:১৫ হতে ২:০০ ঘটিকার মধ্যে রিক্সায় যাত্রী হিসেবে আরোহী হয়ে আদালতের দিকে যাওয়ার পথে আদর্শ পৌর বাজার নামক স্থানে পৌঁছালে সে সময় পরিচালিত মোবাইল কোর্টের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ চৌধুরী রিক্সাচালক কে থামতে বলেন। রিক্সাচালক নির্দেশ মতে রিক্সা থামালে ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় তাদের (যাত্রী ক্যাশিয়ার মোঃ আনসার আলী ও অফিস সহায়ক মোঃ মোশারফ আলী) জিজ্ঞেস করেন, কেন তারা দু’জনে একসাথে রিক্সায় উঠেছেন।

যাত্রীদ্বয় সবিনয়ে বলেন, আমরা দু’জন জেলা জজ আদালতের কর্মচারী। আমরা সরকারি কাজের অংশ হিসেবে আদালতের কর্মচারীদের ঈদ বোনাস উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে গিয়েছিলাম। এতগুলো টাকা একজনের পক্ষে নিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয় বলে আমরা দু’জনে নিরাপত্তার স্বার্থে একসাথে নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একসাথে দু’জন রিক্সায় উঠায় সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ২৫(১)(খ) ধারায় বর্ণিত অপরাধ সংঘটন করেছেন মর্মে উল্লেখে উক্ত আইনের ২৫(২) ধারা মোতাবেক যাত্রীদ্বয়ের মধ্যে একজন কে (মোঃ মোশারফ আলী) দোষী সাব্যস্তক্রমে ২০০ টাকা অর্থদন্ড করে তাৎক্ষনিক সাজা প্রদান করেন। উক্ত দন্ডাদেশ শোনার পর যাত্রী অফিস সহায়ক মোঃ মোশারফ আলী দোষ স্বীকার না করে দন্ডাদেশ চ্যালেঞ্জ করলে উক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাপ সৃষ্টি করে উক্ত আইনের অপব্যবহার করে অর্থদন্ডের টাকা আদায় করেন। উক্ত ঘটনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক আইনের অপপ্রয়োগের ঘটনাটি আদালতের কর্মচারীদের সরকারী কাজে বাধা এবং আইনকে অসম্মান করে বিচার বিভাগের মান ক্ষুন্ন করেছে।

উক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ চৌধুরী কর্তৃক আইনের অপপ্রয়োগ এবং বেআইনিভাবে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করায় বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

অবিলম্বে বর্ণিত ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছি।’